শনিবার রাজধানীতে নিপীড়নবিরোধী গণপদযাত্রা
প্রকাশিত : ২১:২১, ১০ জানুয়ারি ২০২০
ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি ও নারীর জন্য নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার দাবিতে আগামীকাল শনিবার রাজধানীর কুর্মিটোলা অভিমুখে গণপদযাত্রা করবে যৌন নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীজোট।
বিকাল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে পদযাত্রাটি শুরু হবে। গত মঙ্গলবার শাহবাগের এক গণঅবস্থান থেকে এ পদযাত্রা ঘোষণা দেওয়া হয়।
তাদের দাবিগুলো হলো- দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষকের বিচার কাজ সম্পন্ন করতে হবে, কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ড থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত জায়গাটি পুলিশি নিরাপত্তা ও সিসিটিভির আওতায় আনতে হবে, সংশ্লিষ্ট এলাকার মাদকসহ সব অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করতে হবে, নারী নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি পুরো ঢাকা শহর সিসিটিভির আওতায় আনতে হবে।
গণপদযাত্রার আন্দোলনরত শিক্ষাথীরা জানান, কুর্মিটোলা শিক্ষার্থী ধর্ষণের প্রতিবাদ ও ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ইতোমধ্যে ফুঁসে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের জনতা। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী খুব দ্রুততার সঙ্গে ধর্ষক মজনুকে গ্রেফতার করেছে। যৌন নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীজোট দাবি রাখছে যেন খুব দ্রুততার সঙ্গেই এই মামলার বিচারকাজ সম্পন্ন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে ঢাবির নিজস্ব বাস ক্ষণিকায় রওনা দেন তিনি। সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নামেন। এরপর একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে সড়কের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। ধর্ষণের পাশাপাশি তাকে শারীরিক নির্যাতনও করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে। ধর্ষণের এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান।
ফলে হাসপাতালে নিলেও তার জ্ঞান ফিরতে কিছুটা সময় লাগে। রাত ১০টার দিকে নিজেকে একটি নির্জন জায়গায় আবিষ্কার করেন ওই ছাত্রী। পরে সিএনজি নিয়ে ঢামেকে আসেন। রাত ১২টার দিকে ওই ছাত্রীকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা।
এরপর গত মঙ্গলবার রাতে মজনু নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। মজনু ধর্ষণের দায় স্বীকার করেন বলে র্যাব সূত্রে জানা যায়। পরে তাকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।
এমএস/এসি
আরও পড়ুন