ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

দি ডক্টরস্ (ভিডিও)

শিশুর চোখের সমস্যায় চশমার ব্যবহার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৫০, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

চোখ একটি স্পর্শকাতর সংবেদনশীল অঙ্গ। যার সাহায্য আমার এই সুন্দর পৃথিবী দেখতে পাই। পৃথিবীর প্রকৃতি ও রূপ সৌন্দর্য্য উপভোগ করি। এই চোখে দেখতে না পাওয়া মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় অভিশাপ। একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায় বাংলাদেশে প্রায় ১৮ লক্ষ লোক অন্ধ। যার প্রধান কারণ ছানিপড়া, দৃষ্টি শক্তি সমস্যা, নেত্রনালী প্রদাহ, কর্ণিয়ার আলসার বা চোখের ঘা, গ্লুকোমা, ইউভিয়াইটিস, চোখ টেরা, চক্ষুগোলকের বাইরের রোগ ইত্যাদি।

একুশে টেলিভিশনের (ইটিভি) দি ডক্টরস্’ অনুষ্ঠানে আজকের আলোচনার বিষয়- শিশুর চোখের সমস্যায় চশমার ব্যবহার’। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন- অধ্যাপক ডা. হারুন-উর-রশিদ (চক্ষু বিভাগ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঢাকা আই কেয়ার হাসপাতালের চীফ কনসালট্যান্ট, বিশিষ্ট ল্যাসিক, ফ্যাকো গ্লোকমা বিশেষজ্ঞ)।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন- অধ্যাপক ডা. ইকবাল হাসান মাহমুদ

অনুষ্ঠানটি শুনে লিখিত রুপে সাজিয়েছেন- সোহাগ আশরাফ

প্রশ্ন : শিশুদের দৃষ্টিস্বল্পতার কারণ কী?

উত্তর : শিশুদের দৃষ্টিস্বল্পতার কারণগুলোর মধ্যে খুব বেশি যে বিষয়টা আমরা লক্ষ করি তাতে দেখা যায়, আমাদের দেশে পুষ্টিহীনতার অভাব অন্যতম একটি কারণ। যারা বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে থাকে, তাদের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি বেশি দেখা যায়। আর যারা শহর এলাকায় থাকে আমরা লক্ষ্য করেছি, ইতিহাস নিয়ে, অত্যন্ত বেশি তারা টিভি দেখে। পুষ্টিসম্পন্ন খাবার থাকার পরও, বাবা-মা বলার পরও তারা খায় না। প্রয়োজনীয় সেই খাবারটি না খেয়ে তারা বাইরের কম প্রয়োজনীয় খাবার খায়। টিভি দেখা, অত্যধিক কম্পিউটার ব্যবহার করা, মোবাইলে গেম খেলা-এগুলো একটা কারণ হতে পারে বলে আমরা ধারণা করছি।

প্রশ্ন : চোখের সমস্যা হলে চশমার একটি প্রসঙ্গ আসে। চশমা ব্যাবহারের ক্ষেত্রে কি কোন পরামর্শ আছে?

উত্তর : অবশ্যই। শিশুদের ক্ষেত্রে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ডক্টরদের কন্সালটেশন রুমে এক ধরণের চার্ট থাকে। শিশুদেরকে সেটা পড়তে দেওয়া হয়। এক চোখ বন্ধকরে একটা ট্রাইল ফ্রেম দিয়ে পড়তে বলা হয়। এছাড়াও কিছু পরীক্ষা রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আমরা রোগীর অবস্থাটা পরিমাপ করি। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে আমরা বড়দের মত সরাসরি চশমা দেই না। কিছু বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে এটি দেওয়া হয়।

প্রশ্ন : বাচ্চাদের অনেকে চশমা পরতে অনীহা দেখায়। সে ক্ষেত্রে যদি চশমা না পরে তাহলে এই ক্ষীণ দৃষ্টি কী আরও সমস্যায় পড়তে পারে?

উত্তর : পাঁচ বছর থেকে ১২ বছর পর্যন্ত, এই সময়ের মধ্যে যদি তার চশমার প্রয়োজন হয় এবং চশমা দেওয়া না হয়, তাহলে রেটিনার ওপর ঝাপসা ভাব পড়ছে। এতে শিশু দেখতে পাবে না। শিশু দেখতে না পেলে চোখটা অলস হয়ে যায়। যদি এক চোখে চশমা লাগে আর আরেক চোখে না লাগে তবে যেই চোখে লাগে সেটা অলস হয়ে যাবে। আর যেটা না লাগে সেটা অলস হবে না। তার কারণে একটা চোখ তার অলস হয়ে থাকবে। এটা যদি আমরা চিকিৎসা না করি ১২ বছর পার হয়ে গেলে ওই যে এক চোখে দৃষ্টিশক্তি কম রয়েছে সেটা আর বাড়বে না। আর যদি চশমা দিয়ে দেই তাহলে ভালো হবে। আর এই অলস চোখটির জন্য কিছু ব্যায়াম আছে— সেগুলো যদি করাই বাচ্চাকে তাহলে এই দৃষ্টিশক্তিগুলো তৈরি হয়ে যাবে। ১২ বছর পার হয়ে গেলে দৃষ্টি শক্তি একেবারে স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

প্রশ্ন : অনেকেই মনে করেন যে চশমা মানেই খারাপ। আবার কেউ চশমা পড়লে তাকে চোখ কানাও বলা হয়। এটা কি ঠিক?

উত্তর : এটা একটা কুসংস্কার। এক একটা মানুষের গায়ের রঙ, চেহারা, উচ্চতা এক এক রকম। সেই ভাবে এক এক মানুষের দৃষ্টিও আলাদা। আবার অনেক সময় আমরা ভালো চোখেও চশমা পরি। চশমা ব্যবহার করার ক্ষেত্রে চোখের অসুখের বা ভালো-মন্দের কোন সম্পর্ক নেই।

এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে নিজের ভিডিওটি ক্লিক করুন :

এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি