ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

শিশুসাহিত্যিক সুকুমার রায়ের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৫৪, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১৫:৫৬, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

ক্ষণজন্মা জীবনে যাদের প্রতিভার শ্রেষ্ঠ বিকাশ লক্ষ করা যায় তাদের ভিতর অন্যতম সুকুমার রায়। আজ মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বাংলা ভাষার অন্যতম এই শ্রেষ্ঠ শিশুসাহিত্যিকের মৃত্যুবার্ষিকী। কালাজ্বরে (লেইশ্মানিয়াসিস) আক্রান্ত হয়ে ১৯২৩ সালের এই দিনে মাত্র সাঁইত্রিশ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

১৮৮৭ সালের ৩০ অক্টোবর কলকাতার এক ব্রাহ্ম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন কবি সুকুমার রায়। ভারতীয় সাহিত্যে ‘ননসেন্স রাইমের’ প্রবর্তক তিনি।

কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯০৬ সালে রসায়ন ও পদার্থবিদ্যায় বি.এসসি.(অনার্স) করার পর সুকুমার মুদ্রণবিদ্যায় উচ্চতর শিক্ষার জন্য ১৯১১ সালে ইংল্যান্ডে চলে যান সুকুমার রায়। সেখানে আলোকচিত্র ও মুদ্রণ প্রযুক্তির ওপর পড়াশোনা করেন এবং কালক্রমে তিনি ভারতের অগ্রগামী আলোকচিত্রী ও লিথোগ্রাফার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ১৯১৩ সালে সুকুমার কলকাতায় ফিরে আসেন।

সুকুমার ইংল্যান্ডে পড়াকালীন, উপেন্দ্রকিশোর জমি ক্রয় করে, উন্নত-মানের রঙিন হাফটোন ব্লক তৈরি ও মুদ্রণক্ষম একটি ছাপাখানা স্থাপন করেছিলেন। এই সময়ে তিনি ছোটদের একটি মাসিক পত্রিকা ‘সন্দেশ’ প্রকাশনা শুরু করেন।

সুকুমারের ইংল্যান্ড থেকে ফেরার অল্প কিছু দিনের মধ্যেই উপেন্দ্রকিশোরের মৃত্যু হয়। উপেন্দ্রকিশোর জীবিত থাকতে সুকুমার লেখার সংখ্যা কম থাকলেও উপেন্দ্রকিশোরের মৃত্যুর পর সন্দেশ পত্রিকার সম্পাদনার দায়িত্ব সুকুমার নিজের কাঁধে তুলে নেন। শুরু হয় বাংলা শিশুসাহিত্যের এক নতুন অধ্যায়।

একাধারে লেখক, ছড়াকার, শিশুসাহিত্যিক, রম্যরচনাকার, প্রাবন্ধিক ও নাট্যকার ছিলেন সুকুমার রায়। তিনি ছিলেন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর সন্তান এবং তার পুত্র খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়।

তার লেখা কবিতার বই আবোল তাবোল, গল্প হযবরল, গল্প সংকলন পাগলা দাশু এবং নাটক চলচ্চিত্তচঞ্চরী বিশ্বসাহিত্যে সর্বযুগের সেরা ‘ননসেন্স’ ধরনের ব্যাঙ্গাত্মক শিশুসাহিত্যের অন্যতম বলে মনে করা হয়। মৃত্যুর বহু বছর পরও তিনি বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয়তম শিশুসাহিত্যিকদের একজন।


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি