শীতে দই খাওয়ার উপকারিতা
প্রকাশিত : ২০:০৩, ১৫ নভেম্বর ২০১৭

গরমকাল জুড়ে শেষ পাতে আনেকেই দই পছন্দ করে। কিন্তু এই শীতে এমনটা করা উচিত কিনা বুঝে উঠতে পারছে আনেকেই। বড়দেরে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন, শীতকালে দই খেলে ঠান্ডা লাগতে পারে। কিন্তু গবেষকারা শীতকালে দধি খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা নিয়ে কথা বলেছেন।
এক্ষেত্রে অ্যাডভান্স রিসার্চ জানান, দধিতে থাকা ভিটামিন সি, বি ১২, ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে । পাশাপাশি শরীরের গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই শীতকালে দই খেলে কোন ক্ষতি হয় না। বরং শরীর ভিতর থেকে এতটাই শক্তিশালী হয় যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমাতা বৃদ্ধি করতে সাহয্য করে।
১. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে
দইয়ে উপস্থিত উপকারি ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করার পর হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটাতে শুরু করে। সেই সঙ্গে হজমে সহায়ক পাচক রস ঠিক মতো কাজ করতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বলের সমস্যা কমতে শুরু করে।
২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
ইউনিভার্সিটি অব ভিয়েনার গবেষকদের করা এক পরীক্ষায় দেখা গেছে দিনে ২০০ গ্রাম করে দই খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে কোন রোগ ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।
৩. ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়
শীতকাল মানেই ত্বক শুকিয়ে যাওয়া এবং সেই সঙ্গে সৌন্দর্য কমতে থাকা। এমন পরিস্থিতিতে নিয়ম করে দই খেলে ভালো উপকার পাওয়া যাবে। দইয়ে উপস্থিত ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকেক আদ্র রাখার পাশাপাশি ত্বকের রোগে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই সারা শীতকাল জুড়ে নিয়ম করে দই দিয়ে বানানো প্যাক মুখে লাগালে দারুন উপকার পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে দই খাওয়া যদি চালিয়ে যেতে পারেন, তাহলে তো অনেক উপকার পাওয়া যাবে।
৪. রক্তচাপ কমায়
হঠাৎ হঠাৎ ব্লাড প্রেসার বেড়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তা ক্রমশ বৃদ্ধি পায়। এই ব্লাড প্রেসার কমাতে দই খুবই উপকারি।কেননা দই এর মধ্যে থাকা বিশেষ এক ধরনের প্রোটিন ব্লাড প্রেসার কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, আমেরিকান হার্ট অ্যাসোশিয়ানের প্রকাশ করা রিপোর্ট অনুসারে নিয়মিত দই খেলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা ৩১ শাতাংশ কমে যায়।
৫. হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়
একাধিক কেস স্টাডিতে দেখা গেছে নিয়মিত ২৫০ গ্রাম করে দই খেলে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বোন ডেনসিটির উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে নানাবিধ হাড়ের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। তাই বুড়ো বয়সে যদি অস্টিওপোরোসিস এর মতো হাড়ের রোগে আক্রান্ত হতে না চান, তাহলে সারা বছর দই খেতে পারেন।
৬. হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ায়
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত দই খেলে শরীরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বাড়তে থাকে যা ব্লাড প্রেসার কমাতে খুবই উপকারী। সেই সঙ্গে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমায় । ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের ক্ষতি থেকে দধি আপনাকে সাহায্য করবে।
৭. খুশকির প্রকোপ কমায়
অনেকেরই শীতকালে খুশকির সমস্যা হয়ে থাকে। তারা দইকে কাজে লাগিয়ে এই খুশকি সমস্যা সমাধান করতে পারেন।দই-এ থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
সূত্র:বোল্ডস্কাই
এম