ঢাকা, মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

শুক্রগ্রহে প্রাণের সন্ধান!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:১৩, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

Ekushey Television Ltd.

সৌরজগতে পৃথিবী ছাড়া অন্য কোনও গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব নেই বলেই এতদিন মোটামুটি স্থির ধারণা ছিল বিজ্ঞানীদের। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণা সেই ধারণা নাড়িয়ে দিয়েছে। এখন বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, সৌরজগতে পৃথিবীর একেবারে কাছের প্রতিবেশী গ্রহ শুক্রেই প্রাণের সম্ভাবনা রয়েছে।

গবেষণায় শুক্রগ্রহে ফসফাইন গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। এই ফসফাইন গ্যাস পৃথিবীতে জৈব পদার্থ থেকে নির্গত হয়। শুক্রগ্রহে এই গ্যাস থাকার অর্থ সেখানেও জৈব পদার্থ আছে বলে মনে করা হচ্ছে। 

সেখানে ফসফিন গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার মানে দাঁড়ায়, কোন কিছুর মাধ্যমে ক্রমাগত গ্যাসটি উৎপন্ন হচ্ছে৷ এ কারণেই বিজ্ঞানীরা ভাবছেন এটি প্রাণের অস্তিত্ব থাকারই প্রমাণ। এই ধারণা থেকে সৌরজগতেই সন্ধান মিলতে পারে এলিয়েনের।

ভিনগ্রহের প্রাণীর সন্ধানের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা যেসব বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেন, তার অন্যতম হলো এই ফসফিনের পরিমাণ। এই ফসফিনের প্রধান উৎস হলো ব্যাকটেরিয়া বা মাইক্রোবের মতো অণুজীব। পৃথিবীর অন্যতম বিষাক্ত গ্যাস এটি, পচা মাছের মতো গন্ধ এর।

হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ এবং চিলির অ্যাটাকামা মরুভূমিতে বিশেষ টেলিস্কোপ বসিয়ে শুক্রগ্রহের মাটি থেকে ৬০ কিলোমিটার ঊর্ধ্বে মেঘের ওপরের স্তরের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই পর্যবেক্ষণে সেখানে ফসফাইন গ্যাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। শুক্রগ্রহের বায়ুমণ্ডলের বেশিরভাগেই কার্বন-ডাই অক্সাইড গ্যাস রয়েছে।

নেচার অ্যাস্ট্রোনমি পত্রিকায় এই আবিষ্কারের কথা প্রকাশিত হয়েছে। তবে ফসফাইন গ্যাসের উপস্থিতি যে নিঃসন্দেহে সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব প্রমাণ করে না, সেই কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। প্রাণের উপস্থিতি না থাকলেও কী ভাবে সেখানে ফসফাইন গ্যাস প্রস্তুত হতে পারে, তা খতিয়ে দেখছেন বিজ্ঞানীরা। 

শুক্রের সব রহস্য যে এখনই ব্যাখ্যা করা যাচ্ছে না, সেই কথাও উল্লেখ করেছেন তারা।

এএইচ/এসি

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি