ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:০৯, ৯ অক্টোবর ২০২২ | আপডেট: ১৫:১৮, ৯ অক্টোবর ২০২২

পালিত হচ্ছে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা’ ও ‘কঠিন চীবর দান’ উৎসব। প্রবারণ পূর্ণিমা উপলক্ষে দিনব্যাপী বিভিন্ন প্রার্থনা ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ।

সকালে ঢাকার সবুজবাগ আর্ন্তজাতিক বৌদ্ধ বিহারে ভোর সাড়ে ৫ টায় প্রভাত ফেরীর মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর সকাল ১০টা থেকে বুদ্ধপূজা, সংঘদান ও প্রবারণার তৎপর্য নিয়ে আলোচনা হয়। দেশের সমৃদ্ধি ও বিশ্বশান্তি কামনায় উপাসনা করেন। বক্তারা বলেন, দেশ ও বিশ্বশান্তির বিকল্প নেই। 

বৌদ্ধ ধর্ম মতে, এই পুণ্যময় পূর্ণিমা তিথিতে মহামানব গৌতম বুদ্ধ ভারতের সাংকাশ্য নগরে অবতরণ করেন। মানবজাতির সুখ, শান্তি ও কল্যাণের লক্ষ্যে দিকে দিকে স্বধর্ম প্রচারের জন্য তিনি ভিক্ষু সংঘকে নির্দেশ দেন। একই দিনে তার তিন মাসের বর্ষাবাসের পরিসমাপ্তি ঘটে।

দিনটি উপলক্ষে ফানুস উড়ানোসহ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নানা ধরনের উৎসবের আয়োজন রয়েছে। এদিকে এই উৎসবে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

মহামতি গৌতম বুদ্ধ একটি শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যময় বিশ্ব গঠনে আজীবন সাম্য, মৈত্রী, মানবতা ও শান্তির অমিয় বাণী প্রচার করে গেছেন। তার আদর্শ ত্যাগের মহিমায় সমুজ্জ্বল ও মানবিকতায় পরিপূর্ণ। বুদ্ধের অহিংস বাণী ও জীবপ্রেম আজও বিশ্বব্যাপী বিপুল সমাদৃত।

কঠিন চীবর দানকে বলা হয় দানশ্রেষ্ঠ। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অংশগ্রহণে এ দানোৎসব সবার মধ্যে গড়ে তোলে ঐক্য, সংহতি ও সম্প্রীতি। ত্যাগ, সংযম, নিয়মানুবর্তিতা আর কঠোর ধ্যান সাধনার মাধ্যমে উদযাপিত ‘কঠিন চীবর দান’ ভক্তদের বৌদ্ধের প্রকৃত অনুসারী হিসেবে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে মিশে আছে হাজার বছরের বৌদ্ধ ঐতিহ্য। 

বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের এই উৎসব ‘আশ্বিনী পূর্ণিমা’ নামেও পরিচিত।

এসবি/ 
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি