শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে আগামীর চ্যালেঞ্জ
প্রকাশিত : ২০:০৫, ৫ জানুয়ারি ২০১৯
‘সাবাস, বাংলাদেশ, এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয় : জ্বলে পুড়ে-মরে ছারখার/ তবু মাথা নোয়াবার নয়।’ আসলেই আমরা যে বাঙালি, আমরা হারার পাত্র নই। একাত্তর সালে যেভাবে পাকিস্তানকে হারিয়ে আমরা সোনার বাংলা ছিনিয়ে এনেছিলাম, সেভাবেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আমরা প্রমাণ করলাম, আমরা উন্নয়নের পক্ষে, আমরা শান্তি চাই। আমাদের শক্তি ও সামর্থ্যরে কোনো তুলনা নেই।
৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন রেকর্ড গড়লেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানা ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর তৃতীয় মেয়াদে আবারও প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন তিনি। নির্বাচনে হ্যাটট্রিক জয়ের রেকর্ড করে জননেত্রী শেখ হাসিনা চতুর্থ মেয়াদে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন। সমকালীন বিশ্বে এটি তার অনন্য রাজনৈতিক সফলতা।
শেখ হাসিনার সরকার প্রধানের পাশাপাশি তিনবার বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতাও রয়েছে। ১৯৮৬, ১৯৯১ এবং সর্বশেষ ২০০১ সালে বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্ব পালনকালে তিনি কঠিন সময় পার করেছেন। আর দক্ষ হাতে দল সামলাচ্ছেন ১৯৮১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত। মেধা, দক্ষতা, প্রজ্ঞা আর জনগণের ভালোবাসাকে পুঁজি করে তিনি অনুন্নত এক দেশকে তুলে এনেছেন মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে জীবনমানের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিস্ময়কর সাফল্যে বাংলাদেশ এখন বিশ্বেও রোল মডেল তারই নেতৃত্বে।
দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৯৯টিতে গত রোববার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। একটি আসন স্থগিত রেখে সেই রাতেই ২৯৮টি আসনের ফল ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে ২৫৯টি আসনে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীরা। আর জোটগতভাবে তাদের আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮৮টি। এই নিরঙ্কুশ জয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এর বিপরীতে বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ভরাডুবি হয়েছে। তাদের ধানের শীষের প্রার্থীরা মাত্র সাতটি আসনে জয়ী হতে পেরেছে।
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচনে জয় পরাজয় থাকবেই। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। কিন্তু এবারের নির্বাচনে যে জয় পরাজয়ের ব্যবধান, তা কপালে খানিকটা চিন্তার রেখা এঁকে দেয় বৈ কি। একটু পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, গত ১০ বছরে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে। অর্থনীতির ভীত শক্ত করতে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আর, প্রান্তিক পর্যায়েও উন্নয়ন কাজ চলছে, কেননা সামনে টেনে আনতে হবে গ্রামীণ অর্থনীতিকেও। গ্রামের কৃষককে করতে হবে স্বাবলম্বী, বেকার তরুণদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। বলতে দ্বিধা নেই, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটেছে। পরিকল্পনা করেছেন চট্টগ্রামকে দ্বিতীয় সিঙ্গাপুর বানানোর। বাস্তবায়ন হচ্ছে একশ ইকোনমিক জোন। অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে নজরকাড়া সাফল্য হিসেবে দেখা দিচ্ছে পদ্মা সেতু। পাশাপাশি চার লেন মহাসড়ক, উড়াল সড়ক এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। শেখ হাসিনার পরিকল্পনাতেই বাংলাদেশ এখন প্রায় সব ক্ষেত্রে ডিজিটাল। পাওয়া যাচ্ছে পর্যাপ্ত বিদ্যুতও।
অন্যদিকে, ঐক্যফ্রন্টে নেতৃত্বহীনতা, প্রার্থীদের নিস্ক্রিয়তা ও মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে যোগ্যরা বাদ পড়েন এবারের নির্বাচনে বলে অনেকেই মনে করেন। যার ফলও মিলে হাতেনাতেই, এক্কেবারে ভরাডুবি। আসলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাই হয়েছে সেনা ছাউনীতে। প্রধানমন্ত্রীও নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। বিএনপির জন্ম হয়েছে একজন সামরিক শাসকের হাতে। তাদের প্রধান সহযোগী যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতে ইসলামী। দুর্নীতির দায়ে বিএনপির নেত্রী কারাগারে। তারা আরেকজনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন মনোনীত করেছেন, যে শুধু সাজাপ্রাপ্তই নয়, পলাতকও। জোটের শীর্ষনেতা কামাল নির্বাচনে অংশ নেননি। ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর থেকেই প্রশ্ন উঠতে থাকে, তারা ক্ষমতায় গেলে কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? জোটটির নেতারা এ প্রশ্ন সবসময়ই এড়িয়ে গেছেন। যা দেশের তরুণ ভোটারদের আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপি নেতাদের ভুলের জন্যই নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি হয়েছে। এলাকা থেকে বিচ্ছিন্নতা, এজেন্ট দিতে না পারা ও নির্বাচনি প্রচারে অংশ না নেওয়া- এই ভরাডুবির প্রধান কারণ। তারা নির্বাচনের নামে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নানা নাটক করেছেন। বিএনপির প্রার্থীরা তাদের পোস্টার-ব্যানার তেমন লাগাননি। তারা নির্বাচনে পরাজয়ের আগেই হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন। বাস্তবে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মতো তাদের কোনো প্রস্তুতি ছিল না। তাই এ নির্বাচনে তাদের পরাজয় ছিল অবধারিত। বিএনপির মতো বড় একটি দলের সাংগঠনিক কাঠামো নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তারা সাংগঠনিকভাবে যে কতটা দুর্বল তা এই নির্বাচনের মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে বিএনপির বড় প্রার্থীরাও এজেন্ট দিতে পারেননি। আন্দোলন করতে হলে চেতনার দরকার হয়, আর তার সঙ্গে থাকতে হয় সাংগঠনিক প্রস্তুতি। তার কোনোটিই বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেই। এ ধরনের সামর্থ্য থাকলে তারা নির্বাচনের ফলাফলের বিরুদ্ধে অন্তত একটি মিছিল হলেও করতো। বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পরও তারা কোনো ধরনের আন্দোলন করতে পারেননি। এ কারণে নির্বাচনে তাদের ভোটের এমন ফল হয়েছে।
অন্যদিকে, জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে গণজোয়ারের প্রতিফলন ঘটেছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছিল ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর তা আর কখনো দেখা যায়নি। এ নির্বাচনের রায়ে ‘৭০ ও ৫৪ সালের মতো গণজোয়ারের প্রতিফলন ঘটেছে। দীর্ঘদিন পর দেশের মানুষ উপলব্ধি করতে পারছে যে, বিএনপি সুবিধাভোগী।
আসলে আওয়ামী লীগ তথা মহাজোটের এই বিজয় একান্তই শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ফসল। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর দেশের অর্থনীতির প্রাণ কৃষিতে ভর্তুকি এবং প্রণোদনা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন তিনি। কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ তার এই মূলমন্ত্রে ঘুড়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। তার সঠিক সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ এখন আমদানিনির্ভর জাতি থেকে রপ্তানিনির্ভর জাতিতে পরিণত হচ্ছে। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কৃষিখাতে ঘটে গেছে নীরব বিপ্লব। অর্থনৈতিক জোন, হাইটেক পার্ক, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ অসংখ্য দৃশ্যমান মেগাপ্রকল্পে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ পরিকল্পনায় বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়। প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৮৬ ভাগে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও তিনি অসংখ্য সমস্যার জট খুলেছেন। তিনি আমাদেরও দেশকে পাকিস্তানি ধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার হাত থেকে পুনরুদ্ধার করেছেন। একই সঙ্গে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন। জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন। ‘৭১ পেরিয়ে বয়সের কোঠায় ৭২ স্পর্শ করেছেন শেখ হাসিনা। কিন্তু চিন্তা ও কর্মে বয়স তাকে কাবু করতে পারেনি। বিপুল তার প্রাণশক্তি এবং কর্মক্ষমতা। দেশের জনগণ এবং আওয়ামী লীগই তার আত্মার আত্মীয় ধ্যান, জ্ঞান এবং সর্বক্ষণের সহযাত্রী। নিজেকে তিনি ‘আলোর পথযাত্রী’ বলেছেন।
জীবনমানের উন্নয়ন ঘটিয়ে দারিদ্র্যতার হার নিম্ন পর্যায়ে নিয়ে আসা, বিনামূল্যে কয়েক কোটি শিক্ষার্থীর হাতে বই বিতরণ, মাতৃত্বকালীন ভাতা ও বিধবা ভাতা তার সরকারের উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি। রয়েছে প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদান, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, দেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, মাথা পিছু আয় বৃদ্ধিও। এ ছাড়া গরিব শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল তথ্য সেবা কেন্দ্র, মোবাইল ও ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি, কৃষিতে সফলতা, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে সফলতা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে ঝুলে থাকা ছিটমহল সমস্যার সমাধান প্রমাণ দেয় তার নেতৃত্বের দক্ষতার।
তবে বর্তমান সরকারের কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। গত দুই মেয়াদে নেওয়া মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও মাদক নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন খাতের অগ্রগতি ধরে রাখতে হবে নতুন সরকারকে। বড় জয় ধরে রাখাও কঠিন। এ জন্য অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা জরুরি। এ জন্য সরকারকে সমন্বিতভাবে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের দিকে নজর দিতে হবে। দেশের কেন্দ্র থেকে প্রান্ত পর্যন্ত যেভাবে উন্নয়ন কাজের প্রসার ঘটছে, তা থেকে মনে হচ্ছে প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা এবং আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। কারণ, অনেকেই দলীয় পরিচয় ভাঙিয়ে সুবিধা নিতে চাইচে। অবশ্যই, আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি অসাধ্য সাধন করবে। সরকারের ধারাবাহিকতা থাকার কারণে আশা করছি, এ সময় দেশ দারিদ্র্যমুক্ত হবে। কাজেই সব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা সরকারকে বাড়তি সুবিধা এনে দিবে। নতুন সরকারের নির্বাচনের ইশতেহারে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশে নেওয়ার লক্ষ্য ধরা হয়েছে। প্রবৃদ্ধিও এ লক্ষ্য অর্জন করতে বিনিয়োগ জিডিপির আনুপাতিক হারের ৪০ শতাংশ হতে হবে। বর্তমানে এটা ৩১ দশমিক ২ শতাংশে আছে। এক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগ আনুপাতিক হারে বাড়াতে হবে। যদিও বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। যেমন পরিবহন, বন্দর, গ্যাস, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ও ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা। এর বাইরে সার্বিকভাবে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। এসব কাজগুলো সমন্বিতভাবে করতে হবে। উচ্চশিক্ষিতের মধ্যে বড় একটি অংশ বেকার।
এজন্য বিনিয়োগ বাড়ানোর সঙ্গে বিদ্যমান শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাজারমুখী করে তুলতে হবে। আর অর্থনৈতিক অঞ্চলের পাশাপাশি ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টকে কাজে লাগিয়ে তরুণদের নতুন কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। দারিদ্র্য বিমোচন বার্ষিক গড় হার বাড়াতে হবে। এ জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি এর অপব্যবহার রোধ করতে হবে। তার মতে, এসব কাজ বাস্তবায়নে সমন্বিতভাবে চেষ্টা করতে হবে। স্বল্পমেয়াদে ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃত বড় মাপের খেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, ঋণখেলাপিদের মদদদাতা প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। মেগা প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন গতি বাড়িয়ে নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যেই শেষ করার ব্যবস্থা নিতে হবে। নতুন সরকারকে বিনিয়োগের বাধা দূর করতে ইতিমধ্যেই নেওয়া ডুইং বিজনেস পরিবেশ উন্নয়নে পদক্ষেপগুলো ত্বরান্বিত করতে হবে। জনকল্যাণ ও উৎপাদনের জন্য প্রশাসনিক দক্ষতা বাড়াতে হবে। জনগণের কাছে সেবা পৌঁছাতে প্রশাসনকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
এতগুলো চ্যালেঞ্জ সত্বেও দেশের মানুষ আশাবাদী। কারণ, গতিশীল অর্থনীতি আর সৃমদ্ধ দেশের নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতেই। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ যে এগিয়ে যাবে, বলার অপেক্ষা রাখে না। দেশের জনসাধারণ হিসেবে আমাদের উচিৎ হবে, নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিজের ভাগ্য পরিবর্তনে সচেষ্ট হওয়া। আর প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িতদের স্বচ্ছতা বজায় রাখা। তবে, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে আর বাধা থাকবে না।
লেখক: সাবেক সদস্য, পাবলিক সার্ভিস কমিশন। সাবেক উপাচার্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
এসএইচ/
** লেখার মতামত লেখকের। একুশে টেলিভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে।