ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

শেখ হাসিনার বাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীলতা বেড়েছে ভারতেরও

অমল সরকার

প্রকাশিত : ১৩:৪৬, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

‘শেখ হাসিনার বিজয় ভারতকে এশিয়ার শক্তিশালী শক্তি হতে সাহায্য করবে’ বাংলাদেশের বিগত সাধারণ নির্বাচনের পর ভারতের একটি জনপ্রিয় ইংরেজি সংবাদ বাতায়নে প্রকাশিত লেখাটির এই ছিল শিরোনাম। লেখক শেশাদ্রি চারি ভারতে হিন্দু জাতিয়তাবাদের ঝাণ্ডাধারী রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের মুখপত্র ‘অর্গানাইজার’ এর প্রাক্তন সম্পাদক। 

তিনি লিখেছিলেন, বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক ব্যবস্থা ভারতের জন্য ভালো, বিশেষ করে নয়াদিল্লিকে সহযোগিতা করবেন, সে দেশে এমন একজন ব্যক্তির নেতৃত্বে থাকা প্রয়োজন। বাংলাদেশের ভূ-কৌশলগত গুরুত্বের প্রেক্ষিতে বাণিজ্যিক, নিরাপত্তা ও কৌশলগত উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেছিলেন তিনি। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ উদ্যোগ সফল করে তোলার জন্যও বাংলাদেশের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ, লিখেছিলেন শেশাদ্রি চারি।

শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরের সময় শেশাদ্রি চারির কথাটি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সাম্প্রতিক বক্তব্য ঘিরে। তিনি চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমীর মিলনোৎসবে বলেছেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে ভারতকে তিনি অনুরোধ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘দুই দেশেরই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। এটি সম্ভব যদি শেখ হাসিনার সরকারকে সমর্থন দেয় ভারত’।

মোমেনের বক্তব্য নিয়ে দুই দেশেই বিস্তর লেখালেখি হয়েছে। বিশেষ করে ভারতের সাহায্য চাওয়ার কথা তিনি যেভাবে প্রকাশ্যে বলেছেন, তা কারও পক্ষেই মেনে নেওয়া কঠিন। কূটনীতিতে শব্দচয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি সম্ভবত বোঝাপড়াকে সাহায্য, সহায়তা বলে ফেলেছেন।

তবে লক্ষণীয় হল, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও চার বছর আগে শেশাদ্রি চারির নিবন্ধের বক্তব্যের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ মিল আছে। শেশাদ্রি চারি যে ইতিবাচক স্থিতিশীলতার কথা উল্লেখ করেছিলেন, মোমেন সেটাকেই দীর্ঘস্থায়ী করতে ভারতকে প্রয়োজনীয় বোঝাপড়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চেয়েছেন।

শেখ হাসিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মাস কয়েক আগে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বলা কিছু কথাও এখন প্রাসঙ্গিক। বছর চারেক আগে অনুপ্রবেশ নিয়ে বিজেপির তৎকালীন সভাপতি অমিত শাহের একটি মন্তব্য ঘিরে বাংলাদেশে অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল। উইপোকার মতো ওরা আসছে, বলেছিলেন শাহ। কিন্তু বিজেপির বর্তমান নেতৃত্ব ভোট ছাড়া অন্য সময় আর আগের মতো অনুপ্রবেশ, অনুপ্রবেশ করে গলা ফাটায় না। বরং, এ বছর এপ্রিলে গুয়াহাটিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া ভারতের প্রাক্তন সেনা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সম্মানজ্ঞাপন অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, ‘দেশের পশ্চিম (পাকিস্তান) সীমান্তে গোলমাল লেগেই থাকে। কিন্তু পূর্ব সীমান্তে তা নেই। কারণ, এই প্রান্তে আছে বন্ধু দেশ বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে রাজনাথ বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশও বলতে গেলে একপ্রকার বন্ধই হয়ে গিয়েছে।’

বাংলাদেশের ঘরোয়া রাজনীতির কারণেই সম্ভবত পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের বক্তব্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ আলোচনায় তেমন স্থান পায়নি। চট্টগ্রামের সেই অনুষ্ঠানে তাঁর কথায় খানিক রাজনাথের বক্তব্যের সুর ধরা পড়ে। তিনি বলেন, ‘ভারতকে (বাংলাদেশ) সীমান্তে অতিরিক্ত খরচ করতে হয় না।’ অর্থাৎ ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায় অনেকটাই মিল আছে। মোমেন এ ছাড়াও বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে বছরে ২৮ লাখ মানুষ ভারতে বেড়াতে যায়। কয়েক লাখ ভারতীয় বাংলাদেশে কাজ করে।’

তবে, যে কথা বলছিলাম, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী যাই বলুন, আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্টে যে পরিসংখ্যানই ছাপা হোক না কেন পশ্চিমবঙ্গ, অসমের ভোটে অনুপ্রবেশ হয়ে ওঠে অন্যতম ইস্যু। তিস্তার পানিও তেমনই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বাড়তি গুরুত্ব পেয়ে আসছে। ইতিমধ্যেই দু-দেশের পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি হচ্ছে, আসন্ন সফরেও তিস্তার ব্যাপারে খালি হাতে ফিরতে হবে হাসিনাকে। বাংলাদেশের কাছে তিস্তার পানির প্রয়োজনীয়তা সীমান্তের এপারের সাধারণ মানুষ, নেতা-মন্ত্রী-আমলামহল অনুধাবন করেন না, তা মোটেই নয়। তবু অগ্রগতি থমকে থাকার কারণ অভ্যন্তরীণ চাহিদার প্রশ্নটি এখনও অমীমাংসিত।

কিন্তু দুটি দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক শুধু অনুপ্রবেশ আর একটি বা দুটি নদীর জলের বণ্টন-অবণ্টনের ভিত্তিতে বিচার করা হলে অনেক সাফল্য, অগ্রগতি আড়ালে চলে যায়। দুই দেশের মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করে।

এরই মধ্যে খুবই ইতিবাচক দিকটি হল, আগের তুলনায় এপারের অনেক বেশি মানুষ এখন নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জনকে স্বীকার করেন। সাফল্যের জন্য বাংলাদেশের মানুষের প্রতি তাঁরা শ্রদ্ধাশীল। উপলব্ধি করেন, প্রতিবেশী এই দেশের চমকপ্রদ সাফল্য কীভাবে এপারের অর্থনীতির বিকাশের সহায়ক হয়েছে।

আর এ কথা কে না মানবে, হেনরি কিসিঞ্জারের কথা সত্য প্রমাণ করে শেখ মুজিবুরের দেশ আজ তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে গেলে ভারতের অর্থনীতিতেও তার অভিঘাত অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়াত। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ, অসমসহ পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর উন্নয়নের কাতারে উঠে আসা অসম্ভব হয়ে পড়ত, যদি প্রতিবেশী ভূখণ্ড পোলিও আক্রান্ত শিশুর মতো হাঁটতে চলতে না পারত। উল্টে সেই প্রতিবেশী ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরনার্থীকে আশ্রয় ও ভরণপোষণের ভার সামলাচ্ছে। যেমন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর্বে ভারত সাময়িক আশ্রয় দিয়েছিল পাক সেনার হাতে নির্যাতিত এক কোটি বাঙালিকে।

এ পারের অনেক মানুষ বাংলাদেশের আজকের অর্জন উপলব্ধি করেন বলেই পদ্মা সেতুর উদ্ধোধন অনুষ্ঠান শুধু টেলিভিশনে লাইভ টেলিকাস্ট হয় না, বৃহত্তর জনপরিসরে তা নিয়ে চর্চা চলে, ওপারের সাফল্যে এপার হাততালি দেয়। শুধু পশ্চিমবঙ্গের বাংলা সংবাদমাধ্যম নয়, ভারতের সব ভাষার মিডিয়াতেই গুরুত্ব দিয়ে প্রচারিত হয়েছে পদ্মা সেতু নিয়ে শেখ হাসিনার সংকল্প ও সাহসের কথা।

একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে যাই। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলোকে অতীতে ঢাকার শাসকেরা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছেন। শেখ হাসিনা ক্ষমতাসীন হওয়ার পর সেগুলো আর সেভাবে মাথা তুলতে পারেনি। ভারতে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোতে বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং উগ্রপন্থী সংগঠনগুলোর মোকাবিলায় ভারতীয় সেনাকে প্রদত্ত বিশেষ ক্ষমতা আইন আফস্পা (আর্ম ফোরসেস স্পেশ্যাল পাওয়ার অ্যাক্ট) ভারত সরকার প্রত্যাহারের ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে। কারণ, ভারতের ওই অংশে জঙ্গি তৎপরতা অনেকটাই নির্মূল করে ফেলা গিয়েছে। 

এই অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হতে পেরেছে সীমান্তের ওপার থেকে সামরিক এবং নৈতিক সমর্থন আসা বন্ধ হওয়ায়। এর ফলে সীমান্তে অস্থিরতা ঠেকানো এবং অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলায় যে পাহাড় প্রমাণ ব্যয় করতে হত, দু-দেশকেই আর ততটা করতে হচ্ছে না। এই অঞ্চলের মানুষ আগের তুলনায় অনেক বেশি নিরাপদ জীবনযাপন করতে পারছেন।

ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পরিসংখ্যানেও পরিস্থিতির উন্নতির তুলনামূলক চিত্র বেশ স্পষ্ট। ১৯৯৯ সালে ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোতে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির সঙ্গে সংঘর্ষের ১৭৪৩টি ঘটনা ঘটেছিল। সেগুলিতে উগ্রপন্থী, নিরাপত্তা রক্ষী এবং সাধারণ মানুষ মারা গিয়েছিল যথাক্রমে ৪৪২, ২০৮ এবং ৫৯৯ জন। সেখানে গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে ২০৯টি। উগ্রপন্থী, নিরাপত্তা রক্ষী এবং সাধারণ মানুষ মারা গিয়েছে যথাক্রমে ৪০, ৮ ও ২৩ জন। বাংলাদেশের প্রতি, শেখ হাসিনার প্রতি এ জন্য আমরা ভারতবাসী কৃতজ্ঞ।

আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার সঙ্গেই আছে সামরিক অস্থিরতামুক্ত শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রশ্নটি। ভারত মহাসাগরকে ঘিরে চীনের সামরিক তৎপরতা, জলরাশির নিচে মজুত অমূল্য খনিজ সম্পদে একচেটিয়া অধিকার স্থাপনের যে চেষ্টা শ্রীলঙ্কাকে পাশে নিয়ে বেইজিং প্রশাসন চালিয়ে যাচ্ছে, তার মোকাবিলাতেও উপমহাদেশে ভারত-বাংলাদেশ বোঝাপড়া জরুরি। কোনও সন্দেহ নেই, কূটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশ বর্ষ পালনের সময় এই দুই দেশের সম্পর্ক যখন সব প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে, তখন বাকি প্রতিবেশীদের নিয়ে নয়াদিল্লি ততটা স্বস্তিতে নেই। ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে সু-সম্পর্ক রক্ষা ভারতের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়ও বটে।

তিস্তা নিয়ে অগ্রগতি আশানরূপ না হলেও আলোচনা অব্যাহত। নয়াদিল্লিতে সদ্য অনুষ্ঠিত ৩৮তম মন্ত্রি পর্যায়ের যৌথ নদী কমিশনের আলোচনায় বেশ কয়েকটি নদীর জলবণ্টন নিয়ে কথা এগিয়েছে। রেল ও জলপথের বন্ধ যোগাযোগ ব্যবস্থাগুলো নতুন করে চালু হচ্ছে। ভারত ও বাংলাদেশ তাদের বন্দরগুলো নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারছে। এর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে। ভারতের বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা।

এই অগ্রগতিকে দু-দেশের মানুষ কোন চোখে দেখবেন, সেটা ঠিক হবে তাদের কীভাবে দেখানো হবে। অনেক ক্ষেত্রেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিয়ের সম্মন্ধ বা দাম্পত্য সম্পর্কের মতো করে দেখা হয়। অর্থাৎ পছন্দ হল না মানে, সম্পর্ক তৈরিই হল না। আর বনিবনা হচ্ছে যখন তখন বিচ্ছেদ অনিবার্য।

দুটি দেশের সম্পর্ক কিন্তু সেভাবে এগোয় না। সম্পর্ক এগোয় আলোচনা এবং তার মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা আস্থার মাধ্যমে। বিগত দেড় দশকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অর্জন, অগ্রগতি হল, সীমান্তের দুই পারের নেতৃত্ব ও সাধারণ জনসাধারণের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও আস্থার বাতাবরণ তৈরি হওয়া।

তবু শেখ হাসিনার সফরের মুখে বাংলাদেশের একটি মহল থেকে বলা হচ্ছে, এযাবৎ সম্পাদিত চুক্তিগুলোর মাধ্যমে ভারতই লাভবান হয়েছে বেশি। একথা ঠিক, ভারতের সমতল থেকে উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্যগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ সহজতর হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশও কি লাভবান হচ্ছে না? নতুন করে চালু হওয়া যোগাযোগ ব্যবস্থাগুলো বাংলাদেশি বণিক, সাধারণ মানুষ কি ব্যবহার করতে পারছেন না? বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ কি ভারতে পাড়ি দিতে পারছেন না?

এই বিষয়ে তিনবিঘা করিডরের কাহিনী খুবই প্রাসঙ্গিক। তিনবিঘা করিডোর পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ মহকুমা এবং বাংলাদেশের লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার সীমান্তে অবস্থিত। ভারতের ভূখণ্ডে অবস্থিত তিনবিঘা আয়তনের এই করিডর বাংলাদেশের দহগ্রাম ও অঙ্গরপোতা ছিটমহলের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য বরাদ্দ করা হয়। করিডরটি শুধুই বাংলাদেশের মানুষ ব্যবহার করতে পারে। এ বছর সেই হস্তান্তের তিন দশক। ১৯৯২ সালে সেই হস্তান্তর পর্ব ঘিরে পশ্চিমবঙ্গ অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল। জনরোষ থামাতে পুলিশ গুলি চালায়। বেশ কয়েকজন মারা যান। কারণ, ভারতের ভূখণ্ড হলেও সেখানে ভারতীয়দের প্রবেশাধিকার নেই। আজ তিন দশক পর যে বন্ধ করিডরগুলো খোলা হচ্ছে তাতে লাভবান হচ্ছে দু-দেশের মানুষই। সম্পর্ক এভাবেই এগোয়।    

লেখক: ভারতীয় সাংবাদিক।

এএইচএস


** লেখার মতামত লেখকের। একুশে টেলিভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি