শেখ হাসিনা দুর্বল হলে দেশবিরোধী শক্তির উত্থান হবে: শেখ পরশ
প্রকাশিত : ১৭:১১, ৬ এপ্রিল ২০২৪
পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে আগামীকাল ৬ এপ্রিল, সকাল ১১:৩০টায়, টি অ্যান্ড টি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, মতিঝিল, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জননেতা ওবায়দুল কাদের এমপি। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।
এতে সভাপতিত্ব করেন- বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সঞ্চালনা করেন-বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল এমপি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে, বিএনপি-জামায়াতের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক ও সাবধান হওয়ার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এরা ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব গিলে খাবে, গণতন্ত্র গিলে খাবে, মানুষের নিরাপত্তা গিলে খাবে, গোটা বাংলাদেশ গিলে খাবে। তিনি বলেন- বিএনপি এখন গলার জোড় আর মুখের বিষ ছাড়া শক্তিহীন হয়ে পড়েছে। শক্তি যখন কমে যায় তখন মুখের বিষ বেড়ে যায়। শক্তি কমে গেছে, নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি, আন্দোলনের ব্যর্থ হয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথা ব্যথার কারণ নেই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় আছেন ততদিন গণতন্ত্র, স্বাধীনতা নিরাপদ থাকবে এই কথা আমি গভীর প্রত্যয়ের সঙ্গে বলতে চাই। তিনি বলেন, প্রতিদিন সকালে উঠে পত্রিকায় তাকালেই দেখি মির্জা ফখরুল বলছেন দেশে এক ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে, কোথায়? বাংলাদেশের একটা লোক না খেয়ে মরেছে? সংকট আছে, কষ্টে আছে। দুনিয়ার অনেক দেশের চেয়ে আমরা ভাল আছি, আল্লাহর রহমতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকের সংকট কেটে যাবে আশা করি। শেখ হাসিনা মানবিক নেত্রী উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা কত মানবিক নেত্রী, যেখানে আওয়ামী লীগের মত বড় দলের বড় বড় পার্টি করার কথা। আমরা পার্টি করছি না, শেখ হাসিনা বলেছেন ইফতার গরিবের মাঝে বিতরণ করতে হবে। অথচ বিএনপ-জামায়াত এক সাথে ইফতার পার্টি করে, আএয়ামী লীগের গীবত গায়।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন-ইতিহাসের কি নিদারুণ নিটোল পরিণতি-একজন পিতা হাজারো অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে বিশ্বের বুকে আদর্শিক একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন, আবার তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ওই স্বাধীন দেশকে অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগসহ সব দিক থেকে বিশ্বের বুকে সফল রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করেছেন। পিতা ও কন্যার এমন সাফল্য, সুযোগ্য নেতৃত্ব বিশ্বের ইতিহাসে সত্যিই বিরল। দুই প্রজন্ম ধরে এমন কৃতিত্বের ফলে বাংলাদেশের জনগণের সাথে বঙ্গবন্ধুর সংগঠন, আওয়ামী লীগের গভীর বন্ধন সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন-গত ১৫ বছরে এত অর্জন সত্বেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আজকে যে ষড়যন্ত্র চলছে সেটা এদেশের উন্নয়ন ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, এদেশের মেহনতি-কর্মজীবী মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, আপনাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবিলায় আমাদের অসম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন-একাত্তরের পরাজিত শক্তি, পঁচাত্তরের ঘাতক এবং তাদের দোসরদের সামনে একমাত্র বাধা জননেত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনাকে ছলে-বলে-কৌশলে দুর্বল করতে পারলেই পরাজিত শক্তি উত্থান হতে পারে। সেকারণে এই সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের এক পরিকল্পিত নীলনকশার বাস্তবায়ন চলছে। এই নীলনকশার অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে মিথ্যাচার এবং অপপ্রচার। সারাক্ষণ শেখ হাসিনার গণমানুষের সরকারকে ফ্যাসিবাদী, কর্তৃত্ববাদী এবং আধিপত্তবাদি দানব সরকার বলে লেবেল করে যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল সাহেবরা। ফ্যাসিবাদের প্রকৃত সংজ্ঞাই মানুষ এখন ভুলে গেসে এদের মিথ্যাচারের ফলে। ’৭১-এর ঘাতক এবং ’৭৫-এর ঘাতকদের নিয়ে যেই দলের সৃষ্টি, যেই দল যখনই ক্ষমতা দখল করেছে সর্বদা এদের মানুষকে শোষণ, নিপীড়ন এবং নির্যাতন করেছে, তারা এখন শেখ হাসিনার জনগণের সরকারকে সারাক্ষণ গালিগালাজ করে যাচ্ছে। সংবাদ মাধ্যমে এত গালি-গালাজ করেও মিথ্যাচার করছে, ‘সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নাই”! বলে এই ওদের চরিত্র। জনসমর্থন অর্জন করার ক্ষমতা নাই কিন্তু স্বপ্ন দেখছে যে জনগণ ঐ খুনিদের ডাকে সাড়া দিয়ে ঘর থেকে বেড় হয়ে আসবে। গণআন্দোলনে শরীক হবে। কিন্তু জনগণের আস্থা অর্জন করতে হলে মিথ্যাচার আগে বন্ধ করতে হবে। তাহলে জনগণ আপনাদের ডাকে সাড়া দিতে পারে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি-তারা সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে পাকিস্তানি রাষ্ট্র বানানোর স্বপ্ন দেখে। যারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল, যারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছিল, তারা সংবিধানকে পদদলিত করেছিল, যারা বহু দলীয় গণতন্ত্রের নামে বাংলাদেশের মানুষের অধিকারকে ভূলুণ্ঠিত করেছিল সেই বিএনপি-জামাত এখনো বাংলাদেশের মানুষকে বিপথগামী করতে চায়, অপরাজনীতি ও সাম্প্রদায়িক শক্তি বিএনপি-জামাতের বিপক্ষে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে তাদের বিষদাঁত ভেঙ্গে দিতে হবে।
সঞ্চালকের বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল এমপি বলেন-বঙ্গবন্ধুকন্যা বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নেতা-কর্মী নির্দেশনা দিয়েছেন নিজেরা দামি দামি খাবার দিয়ে ইফতার না করে ইউক্রেন-রাশিয়ার এই যুদ্ধের মধ্যে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির এই সময়ে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়াতে; মানুষের কল্যাণে কাজ করতে। বঙ্গবন্ধুকন্যার নির্দেশেই বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণসহ দেশের সকল জেলা-মহানগরের সাধারণ মানুষের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করছে; অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এ কারণেই যে, গত ৭ জানুয়ারি বিএনপি-জামাতের সকল সড়যন্ত্র আর রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে নৌকায় ভোট বঙ্গবন্ধুকন্যাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ হাবিবুর রহমান পবন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, মুহাম্মদ বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোঃ মাজহারুল ইসলাম, মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ, আবু মনির মোঃ শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ সাদ্দাম হোসেন পাভেল এমপি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ শামছুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ নিজাম উদ্দিন চৌধুরী পারভেজ, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ হারিছ মিয়া শেখ সাগর, ধর্ম সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান সরদার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মোঃ গোলাম কিবরিয়া শামীমসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
কেআই//
আরও পড়ুন