শেখ হাসিনা নিজের তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে গেছে: রিফাত
প্রকাশিত : ১৪:০৩, ১০ মার্চ ২০২৫

জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব রাফে সালমান রিফাত বলেছেন, শেখ হাসিনা ফ্যাসিবাদের মাধ্যমে মূলত নিজের তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে বলে মন্তব্য করেছেন। সেগুলো হলো- দল আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধের আওয়ামী চেতনা, ব্যক্তি শেখ মুজিবর রহমানের ইমেজ।
আজ সোমবার নিজের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ পরামর্শ দেন রিফাত।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক এই নেতা বলেন, ২৪ এর অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই তিনটা ইন্সটিটিউট বলা চলে ধ্বংস হয়ে গেছে। এই কথা খোদ আওয়ামী সমর্থকেরাও বলেন বা স্বীকার করেন। আওয়ামী লীগের সমর্থক গোষ্ঠী এই সর্বাত্মক ধ্বংসের জন্য শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিট্রেড ফিল করেন।
‘অনেকে খুব কুৎসিত গালিগালাজও করেন যে, তাদেরকে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে রেখে হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছে। শুধু পালিয়েই যায় নাই, সেখানে বসে তাদের জীবনকে আরো দুর্বিষহ করে তোলার জন্য নানা মাত্রিক ষড়যন্ত্র চালিয়ে গেছে গত সাত মাস একের পর এক।’
ভারতে বসে শেখ হাসিনা অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রে বিপুল পরিমাণ টাকা ঢালছে বলে মন্তব্য করেন ঢাবি শিবিরের সাবেক এই সভাপতি। তিনি বলেন, যার সর্বশেষ সংযোজন- টাকা দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েনসারদেরকে কিনে 'আগেই ভালো ছিলাম' ক্যাম্পেইন চালানো। আবার শুনতেছি ২৫ মার্চ তারা হোয়াইট হাউজের সামনে মানববন্ধনের প্ল্যান করেছে। অ্যাবসার্ড।
রিফাত বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের সমর্থক গোষ্ঠী ভাইবোনেরা, প্লিজ, নোংরা এই মহিলার ষড়যন্ত্রে ইন্সটিগেটেড হইয়েন না। আপনারা নতুন এই বাংলাদেশে মর্যাদার সাথে বসবাস করতে চাইলে ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা আর তার ফ্যাসিবাদের দোসরদের পরিত্যাগ করুন। আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলব।’
‘আওয়ামী লীগের যারা কোনো ফৌজদারি অপরাধে জড়িত নন, আওয়ামী লীগের নামে এবং মতাদর্শে আপনারা আর রাজনীতি করতে পারবেন না। করলে জনরোষের মুখে পড়বেন। রাষ্ট্র যদি আপনাদের রিহ্যাবিলিটেট করতে চায়, তবুও জনগণ নিজেই আপনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। আপনারা বিএনপি, এনসিপি, জামায়াত, এবি পার্টি বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দিন।’
আওয়ামী লীগের ভোটার আছে এটা আমরা জানি। আমরা তাদেরকে বাইরে রেখে দেশের উন্নয়ন করতে পারব না। আপনারা আপনাদের মন-মগজকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করুন, তওবা পড়ে ভিন্ন কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দিন, বলেন রাফে সালমান রিফাত।
এএইচ
আরও পড়ুন