শেরপুরের ৩টি আসনে ৭ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল
প্রকাশিত : ২১:৩৬, ২ ডিসেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ২১:৩৭, ২ ডিসেম্বর ২০১৮
শেরপুরের ৩টি আসনে বিএনপি’র ৪ প্রার্থীসহ মোট ৭ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে শেরপুর-১ (সদর) আসনে ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে বিএনপি’র ৩ জন ও শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে ৫জন প্রার্খীর মধ্যে বিএনপি’র ১ জন এবং শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনে ৮ জন প্রার্থীর মধ্যে পিডিপি’র ১ জন ও স্বতন্ত্র ২ জন সহ মোট সাত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
রোববার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় জেলার ২২ প্রার্থীর মধ্যে ১৫ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এ সময় শেরপুর জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলীর ৪টি ব্যাংকের ঋণখেলাপির দায়ে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এছাড়া জেলা যুবদল সভাপতি শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও সদর উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ফজলুল কাদের মনোনয়নপত্রে বিএনপি’র প্রার্থী বলে উল্লেখ করলেও মনোনয়নপত্রের সাথে দলীয় মনোনয়নের চিঠি সংযুক্ত না করায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রার্থী এবং তাদের প্রস্তাবক-সমর্থকদের উপস্থিতিতে মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয়।
রির্টার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শেরপুর-১ (সদর) আসনে বিএনপি’র তিন প্রার্থির মনোনয়নপত্র বাতিল হলেও জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলীর মেয়ে বিএনপি মনোনীত অপর প্রার্থি সানসিলা জেবরিনসহ ৬ প্রার্থির মনোনয়পত্র বৈধ বলে ঘোষনা করা হয়। তারা হলেন, আ’লীগের প্রার্থী মো. আতিউর রহমান আতিক, জাতীয় পার্টির মো. ইলিয়াছ উদ্দিন, কৃষক-শ্রমিক-জনতা পাটির মো. জহির রায়হান, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ-এর অ্যাডভোকেট মো. মতিউর রহমান, সিপিবি’র মো. আফিল শেখ।
শেরপুর-২ আসনে বিএনপি প্রার্থী নালিতাবাড়ী উপজেলার বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম মুখলেছুর রহমান রিপনের মনোনয়ন পত্রের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদত্যাগপত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তর কতৃক গৃহীত হওয়ার কোন প্রমানপত্র দিতে না পারায় তার মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়। বাকি যে ৪ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করা হয় তারা হলেন আ’লীগের বেগম মতিয়া চৌধুরী, বিএনপি’র মোহাম্মদ ফাহিম চৌধুরী ও মোহাম্মদ হায়দার আলী এবং ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নুরুল ইসলাম।
এছাড়া শেরপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সোহরাওয়ার্দী বাহাদুর ও মো. ইন্তাজ আলী তাদের নিজ আসনের সর্বমোট ভোটারের মধ্যে শতকরা ১ ভাগ ভোটারের স্বাক্ষর সম্বলিত কাগজ দাখিল করলেও এদের মধ্যে অনেক ভোটারের নামের গড়মিল ও ভূয়া স্বাক্ষর প্রমাণিত হওয়ায় এবং পিডিপি’র মো. আবু বকর ছিদ্দিক ও তার প্রস্তাবকারী এবং সমর্থনকারী কেউ রিটার্নিং অফিসারের কক্ষে উপস্থিত না থাকায় তাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এই আসনের তিনজন ছাড়া যাদের মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করা হয় তারা হলেন আ’লীগের একেএম ফজলুল হক, বিএপি’র মো. মাহমুদুল হক রুবেল ও মো. মাহমুদুল হাসান, জাপা’র আবু তাহের, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মো. আব্দস সাত্তার।
রিটার্নিং কর্মকর্তা আনার কলি মাহবুব জানান, যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, তারা নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন। আগামী তিন দিনের মধ্যে আপিল বাতিলকৃতদের মনোনয়নপত্র বৈধতা পেলে তারা বৈধ প্রার্থী হিসেবে তালিকায় স্থান পাবেন।
কেআই/এসি
আরও পড়ুন