শেরপুরে চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ২ জনের মৃত্যু
প্রকাশিত : ১৪:৪৮, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সিএনজি স্ট্যান্ড, ট্রলি ও ভ্রাম্যমান দোকনের চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে শেরপুর শহরের গৌরিপুর ও খোয়ারপাড় মহল্লাবাসীর মধ্যে সোমবার রাতের সংঘর্ষের ঘটনায় ২ যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে সংঘর্ষের পর গুরুতর আহত অবস্থায় আরিফুল ইসলাম শ্রাবন (৩২)কে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে আহত শ্রাবনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু ঘটে। এনিয়ে ওই সংঘর্ষের ঘটনায় গৌরিপুর মহল্লার দুইজনের মৃত্যু ঘটলো।
এর আগে সোমবার রাতে প্রতিপক্ষের পিটুনীতে গৌরিপুর মহল্লার বাসিন্দা হাফেজ আজাহার আলীর ছেলে ট্রলি শ্রমিক আশরাফুল আলম মিজান (৩৫)র মৃত্যু ঘটে।
আহত আরও অন্তত ২০ জনকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দুই পক্ষই রাতে মসজিদের মাইকে মাইকিং করে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে লোকজন জড়ো করে। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ১১টার দিকে দুইপক্ষ খোয়ারপাড় মোড়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়ালে কমপক্ষে ২০-২২ জন আহত হয়। পরে শেরপুর জেলা হাসপাতালে মিজানের মৃত্যু হয়।
শেরপুর সদর ওসি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম দুইজন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মিজান টেম্পো, ট্রলির সিরিয়াল টোকেন শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। আর নিহত আরিফুল ইসলাম শ্রাবন (৩২) গৌরিপুর মহল্লার মিন্টু মিয়ার ছেলে বলে জানা যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা য়ায়, শহরের খোয়ারপাড় মোড়ে সিএনজি স্যান্ড, ট্রলি ও ভ্রাম্যমান দোকনের চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়ভাবে দুই পক্ষের মধ্যে আদিপত্যের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এ ঘটনার জের ধরে গত কয়েকদিন ধরে গৌরীপুর ও খোয়ারপাড় মহল্লাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো।
এ ঘটনার জের ধরেই সোমবার রাতে দুই পক্ষই খোয়ারপাড় মোড়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু করে। এলাকায় বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পুলিশ এবং সেনাবাহিনী টহল জোরদার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে।
এএইচ
আরও পড়ুন