শেরপুরে বন্যা : নতুন করে ৭৭ গ্রাম প্লাবিত
প্রকাশিত : ২১:৪৩, ১৮ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ১৮:৪৮, ১৯ আগস্ট ২০১৭
পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ, দশানী ও মৃগী নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। সদর উপজেলা, নকলা ও শ্রীবরদী উপজেলায় নতুন করে আরও ৭৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যমতে, শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত শেরপুর ফেরিঘাট পয়েন্টে বন্যার পানি গত ২৪ ঘণ্টার আরও ১৩ সেন্টিমিটার বেড়েছে। এতে জেলায় তিন উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ৭৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে শেরপুর সদরের ৮ ইউনিয়নের ৩০টি, শ্রীবরদীর ২ ইউনিয়নের ৩৫টি এবং নকলার ৪ ইউনিয়নের ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ৪০ হাজার লোক পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।
সদর উপজেলার চরপক্ষিমারি ইউনিয়নের কুলুরচর-বেপারীপাড়া গ্রামের বন্যা পরিস্থিতির কারণে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে রয়েছে। ঘরবাড়ি হারা অন্তত ৩০০ পরিবার স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাঁধের উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার মো. জাফর মিয়া জানান, গ্রামের ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে যাওয়ায় কুলুরচর-বেপারিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তবে এখানে কোনো ধরনের সহায়তা কিংবা ত্রাণ তৎপরতা নেই। বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি।
বলাইরচর ইউনিয়নে ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার সারোয়ার জাহান নাসির জানান, বৃহস্পতিবার রাতে দশানি নদীর ভাঙনে প্রায় ২০০ ফুট বাঁধ ভেঙে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি-ফসলের খেত বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
আজ শুক্রবার হুইপ আতিউর রহমান আতিক সদরের কামারের চর ও চরপক্ষিমারি ইউনিয়ন এবং শেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী ফজলুল হক চাঁন ভেলুয়া ও কেকের চর ইউনিয়নের বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে বন্যার্তদের মাঝে কিছু ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন।
শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, বন্যা দুর্গত এলাকার জন্য ৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আশা করছি শনিবারের মধ্যে বন্যার্তদের নিকট সেসব চাল পৌঁছে যাবে।
নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব সরকার বলেন, বন্যার কারণে নকলার ৪ ইউনিয়নের ২০০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।
শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদা নাসরিন জানান, এ উপজেলার ভেলুয়া ইউনিয়নের সবগুলো গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়া কেকের চর ইউনিয়নও বন্যাকবলিত হয়েছে। বন্যার্তদের মাঝে খয়রাতি চাল বিতরণ করা হয়েছে।
আর/ডব্লিউএন
আরও পড়ুন