শেষ পর্যন্ত মামলা করতেই হবে: অর্থমন্ত্রী
প্রকাশিত : ২২:২৯, ৫ ডিসেম্বর ২০১৮
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় শেষ পর্যন্ত মামলা করতেই হবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। মন্ত্রী বলেন, সমঝোতা-আলাপ-আলোচনা অনেক হয়েছে। ভালো ফল আসেনি। শেষ পর্যন্ত মামলা করতেই হবে। তবে সে মামলা আইনজীবীর পরামর্শ ছাড়া করা যাবে না।
বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে ক্রয়-সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের চুরি হওয়া টাকা নিয়েও কথা বলেন মুহিত।
অর্থমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক (ফেড) এবং ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকের (আরসিবিসি) বিরুদ্ধে মামলা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। কবে এ মামলা করা হবে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।
মুহিত বলেন, সময় শেষ হয়ে আসছে। মামলা করার জন্য আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় আছে। তাই এ বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক খুব সিরিয়াসলি কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, মামলা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক-ফিডের সহযোগিতা প্রয়োজন। তাদের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে।
মামলাটা কার কার বিরুদ্ধে হবে জানতে চাইলে মুহিত বলেন, `ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক (ফেড) এবং ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকের (আরসিবিসি) বিরুদ্ধে। তাহলে কি ফেড বাংলাদেশের পক্ষে থাকবে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, `আমার মনে হয় থাকবে। কারণ, তাদের মাধ্যমেই তো সবকিছু হয়েছে। এটা শুধু বাংলাদেশের বিষয় নয়, এটা বিশ্বব্যাপী বিষয়। কারণ, সারা বিশ্বের টাকা-পয়সা তারা রাখে।
অর্থমন্ত্রী জানান, রিজাল ব্যাংকই আসল কালপিট। তার বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে। তবে এ বিষয়ে ফেডের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন আছে। সে জন্য মামলায় তাদের পার্টি করা হবে। মামলা কবে হবে জানতে চাইলে মুহিত জানান, সময় লাগবে। আইনজীবী নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।
শেষ পর্যন্ত মামলা করতেই হবে।
২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে (ফেড) রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়।
এদিকে আসন্ন নির্বাচনে অর্থনীতির সামগ্রীক বিষয় নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের বছরে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার কমবে না, বরং ভালোই হবে।
জিডিপির প্রবৃদ্ধি প্রসঙ্গে মুহিত জানান, নির্বাচন হতে এক মাসেরও কম সময় বাকি। দেশ স্থিতিশীল রয়েছে। কোনো ধরনের গোলযোগ নেই।
তবে তিনি স্বীকার করেন, নির্বাচনের কারণে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে কিছুটা ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে নির্বাচনী বছরে প্রকল্প বাস্তবায়নে শ্নথগতি দেখা যায়। নানা কারণে তখন এ কাজে নজর দেওয়া সম্ভব হয় না। এসব সত্ত্বেও আশা করা যাচ্ছে, চলতি অর্থবছরে ভালো প্রবৃদ্ধি হবে।
একজন সাংবাদিক চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায় কম হওয়ার কারণ সম্পর্কে অর্থমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টা তিনি এখনও জানেন না। তবে অর্থনীতির অবস্থা যে ভালো তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারপরও এটা কেন হচ্ছে তা বোধগম্য নয়।
আরকে//
আরও পড়ুন