শেষ মুহূর্তের গোলে ইউরোর ফাইনালে ইংল্যান্ড
প্রকাশিত : ০৯:৪৫, ১১ জুলাই ২০২৪
৯০ মিনিট পর্যন্ত ১-১ গোলের সমতা, এমন সময়ে আচমকা গোল হজম করে বসে ডাচরা। ওলি ওয়াটকিনসের শেষ মুহূর্তের গোলে ৩৬ বছর পর ইউরোর ফাইনালে ওঠার কমলা জার্সিধারীদের স্বপ্নভঙ্গ করলো ইংল্যান্ড। ফাইনালে হ্যারি কেইনদের প্রতিপক্ষ লামিয়েন ইয়ামালের স্পেন।
বুধবার ডর্টমুন্ডে বাংলাদেশ সময় রাত একটায় শুরু হয় সেমিফাইনালের ম্যাচটি। জমজমাট লড়াইয়ে নেদারল্যান্ডসকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ইংল্যান্ড।
ম্যাচের সপ্তম মিনিটে জাভি সিমোন্সের গোলে ডাচরা এগিয়ে যাওয়ার ১১ মিনিট পর ইংলিশদের সমতায় ফেরান হ্যারি কেইন। আর নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে গোল করে মতো ইউরোর ফাইনাল নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড।
ম্যাচ মাঠে গড়ানোর পর এগিয়ে যেতে খুব বেশি সময় নেয়নি নেদারল্যান্ডস। সপ্তম মিনিটে নিজেদের অর্ধে ডেকলাইন রাইস বল হারালে টেনে নেন জাভি সিমন্স। কয়েকজনকে কাটিয়ে বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে ঠিকানা খুঁজে নেন পিএসজির এই মিডফিল্ডার।
ষষ্ঠদশ মিনিটে উড়ে আসা বল ভলিতে জালে পাঠানোর চেষ্টা করেন হ্যারি কেইন। কিন্তু এর শট নেওয়ার সময় ডামফ্রিসের পায়ে লেগে পড়ে যান বায়ার্ন মিউনিখ তারকা। তখন ফাউল না দিলেও কিছুক্ষণ পর ভিএআর চেক করতে যান রেফারি। সেখান থেকে এসে বাজান পেনাল্টির বাঁশি।
অষ্টদশ মিনিটে সফল স্পট কিকে সমতা ফেরান কেইন। ডাচ গোলরক্ষক ঠিক জায়গায় ডাইভ দিলেও বল আগেই জাল ভেদ করে ফেলে।
২২তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত ইংল্যান্ড। সতীর্থের পাস ধরে বল টেনে নিয়ে বক্সে কয়েকজনকে কাটিয়ে গোললাইনের কাছে গিয়ে ডান দিকে বাড়িয়ে দেন ফোডেন। বল ঠিকঠাক এগোলেও গোললাইনে সেটি থামিয়ে দেন ডামফ্রিস। ইংল্যান্ড গোলের আবেদন করলেও খেলা চালিয়ে যান রেফারি। পরবর্তীতে গোললাইন প্রযুক্তিতে দেখা যায় বলটি লাইন পার হয়নি।
বিরতির পর বল দখলে রেখে সুযোগ খুঁজতে থাকে ইংল্যান্ড। কিন্তু তাদের ব্যর্থতায় শেষদিকে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে ডাচরা। ৬৫তম মিনিটে দারুণ সুযোগ পায় তারা। ফ্রিকিক থেকে উড়ে আসা বল কাছ থেকে শট নেন ফন ডাইক। তবে লাফিয়ে সেটি ঠেকিয়ে দেন পিকফোর্ড।
৭৬তম মিনিটে ভট ভেগহর্স্টের বক্সে দেওয়া দারুণ পাস ভলিতে জালে পাঠানোর চেষ্টা করেন সিমন্স। তবে পিকফোর্ডের অসাধারণ সেভে রক্ষা পায় ইংলিশরা। তিন মিনিট পর বল জালে পাঠায় ইংল্যান্ড। ডান দিক থেকে আক্রমণে গিয়ে কাইল ওয়াকার ক্রস বাড়ান বক্সের মাঝামাঝি। অরক্ষিত বুকায়ো সাকা জালে বল পাঠালেও অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি। বাতিল হয় গোল।
৮৪তম মিনিটে সুযোগ পায় ডাচরা। আক্রমণে যাওয়া ভেগহর্স্ট কয়েকজনকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে যান। তবে সেখানে গুয়েহি দারুণ এক সেভে বাঁচান ইংলিশদের।
৯০তম মিনিটে বদলি হয়ে নামা ওয়াটকিন্স দেখান জাদু। ডেকলাইন রাইস থেকে নেওয়া বল বক্সে বাড়ান কোল পালমার। সেখানে থাকা ওয়াটকিন্স থ্রু বল ধরে ডাচ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে জাল খুঁজে নেন নিখুঁত শটে।
স্টেডিয়ামে থাকা দর্শক দাঁড়িয়ে দিতে থাকে হাততালি। আর ইংলিশ ফুটবলাররা ভাসেন উচ্ছ্বাসে। প্রথমবারের মতো তারা কোনো মেজর প্রতিযোগিতার সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার আনন্দ প্রকাশ করেন এভাবেই।
ইউরোর ফাইনালে শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে আগামী সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় বার্লিনে স্পেনের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড।
এএইচ