ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

শেষ হলো ছয়দিনব্যাপী পিকেএসএফ’র উন্নয়ন মেলা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৩৮, ৩ নভেম্বর ২০১৭

শেষ হলো ছয়দিনব্যাপী পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)’র উন্নয়ন মেলা-২০১৭। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে আয়োজিত এ মেলার শেষ দিনে অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের পুরস্কার প্রদান ও সঙ্গীতানুষ্ঠানের মাধ্যমে শুক্রবার এ মেলার সমাপ্তি ঘটে।

সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফ`র সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। স্বাগত বক্তব্য দেন পিকেএসএফ`র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল করিম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ট্রান ভ্যান কোহ।

সমাপনী অনুষ্ঠানে পিকেএসএফ`র সহযোগী সংস্থার মধ্য থেকে ৩টি এবং অন্যান্য সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্য হতে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে সেরা স্টল-এর পুরস্কার প্রদান করা হয়। সেরা সম্ভাবনাময় পণ্য হিসেবে বাসক চা, চেউয়া শুটকি ও মিষ্টি মরিচ-কে পুরষ্কৃত করা হয়। এছাড়াও মেলায় আগত ভিয়েতনামের সিইসিডি-কে প্রশংসাপত্র প্রদান করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক পাম থি হং-এর হাতে প্রশংসাপত্র তুলে দেন পিকেএসএফ-এর সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। অনুষ্ঠানে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে পিকেএসএফ`র সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, বিগত সাতাশ বছরের অগ্রমুখী পথপরিক্রমায় পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) দরিদ্র জনগোষ্ঠীর টেকসই উন্নয়নে গতিশীল ও কার্যকর ভূমিকা পালন করে চলেছে। মানব মর্যাদা প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে পিকেএসএফ’র সমন্বিত উদ্যোগে দেশব্যাপী হাজারো ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এখন আত্মনির্ভরতার প্রতীক। তাঁদের বহুমুখী প্রচেষ্টার বিচিত্র প্রদর্শনী, সমাজের বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে আলোচনা সভা এবং প্রতি সন্ধ্যায় দেশের নানা অঞ্চল থেকে আগত ও ঢাকার প্রথিতযশা শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ পিকেএসএফ গত ২৯ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই বর্ণাঢ্য উন্নয়ন মেলার আয়োজন করা হয়।

এবারের মেলায় উদ্যোক্তাদের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ মেলাকে করেছে সফল ও স্বার্থক। উদ্যোক্তাদের থেকে দাবি উঠেছে প্রতিবছর এমন মেলা করতে। আগামীতে আমরা এ মেলা প্রতিবছর করা যায় কী না,  সে ব্যাপারে  ভেবে দেখছি। বড় কোনো প্রতিবন্ধকতা না থাকলে আগামীতে এ মেলা প্রতিবছর এবং আরও ব্যাপক পরিসরে আয়োজনের চিন্তা-ভাবনা করছি।

মেলায় বিভিন্ন স্টল পরিদর্শনকালে কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে বলেন, মেলায় বিভিন্ন জেলা থেকে প্রান্তিক পর্যায়ে উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শিত হয়েছে। আশা করছি এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের আরও বেশি পণ্য উৎপাদনে অনুপ্রাণিত করবে।

মেলায় পিকেএসএফ`র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল করিম একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে বলেন,আগামীতে আমাদের এ আয়োজন আরও ব্যাপক পরিসরে হবে। এ মেলায় অংশগ্রহণে সবার সমান সুযোগ দেয়া হবে। প্রতিবছর মেলা করা যায় কী না, সেটাও ভেবে দেখা হচ্ছে।

মেলার আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৯৯০ সালে সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত পিকেএসএফ বর্তমানে সমগ্র দেশে ২৭৭টি সহযোগী উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন ও টেকসই উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। উন্নয়ন মেলায় ৯০টি সহযোগী সংস্থার অংশগ্রহণে ১৩৩টি স্টলে সহযোগী সংস্থার পিকেএসএফ-এর অর্থায়নের আওতাভুক্ত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী এবং সেবা প্রদর্শিত হয়।

আরকে/ডব্লিউএন

 

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি