শ্রমিকরা জীবনধারণের উপযোগী মজুরি পান না: এফএলএ
প্রকাশিত : ১৯:২৫, ৩০ এপ্রিল ২০১৮
বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকেরা দারিদ্র্যসীমায় মজুরি পায়। জীবনধারণের জন্য শ্রমিকদের অত্যধিক ওভারটাইম করতে হয়। তার মানে শ্রমিকের প্রকৃত মজুরি ও জীবনধারণের উপযোগী মজুরির মধ্যে বড় ফারাক রয়ে গেছে।
বাংলাদেশের মজুরি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ফেয়ার লেবার অ্যাসোসিয়েশনের (এফএলএ) এক গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে।এতে বিদেশি ক্রেতা ও ব্র্যান্ডমালিকদের মজুরি বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, শ্রমিকের কম মজুরির জন্য সরবরাহকারীর পাশাপাশি ক্রেতাদেরও দায় আছে।
বাংলাদেশের ১৮টি পোশাক কারখানার ৬ হাজার শ্রমিকের মজুরি তথ্য নিয়ে গবেষণাটি করেছে এফএলএ। তবে কারখানাগুলোর নাম প্রকাশ করেনি সংস্থাটি। সাভারে রানা প্লাজা ধ্বসের পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়া উপলক্ষে গত সপ্তাহে গবেষনা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। এফএলএ শ্রমিক অধিকার সুরক্ষায় বিশ্বব্যাপী কাজ করে।
গবেনায় বলা হয়, বাংলাদেশের পোশাকশ্রমিকের মাসিক নিম্নতম মজুরি ৫ হাজার ৩০০টাকা।তবে অধিকাংশ শ্রমিকই নির্ধারিত নিম্নতম মজুরির ৫৫ শতাংশের বেশি অর্থাৎ ৭ হাজার ৭৯৭ টাকা পান। এটি বিশ্বব্যাংকের দারিদ্র্যসীমার মজুরি ৬ হাজার ৭৮৪ টাকার চেয়ে কিছু বেশি। তবে গ্লোবাল লিভিং ওয়েজ কোয়ালিশনের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় জীবনধারণের জন্য একজন শ্রমিকের মজুরি ন্যূনতম ১৩ হাজার ৬২০ টাকা হওয়া দরকার।
গবেষণায় বলা হয়, অতিরিক্ত আয়ের জন্য সব পোশাকশ্রমিকই ওভারটাইমের ওপর নির্ভরশীল। এতে করে তারা ২০ শতাংশ মজুরি বেশি পান। সেজন্য শ্রমিকদের সপ্তাহে ৬০ ঘণ্টার বেশি কাজ করতে হয়। কিন্তু দেশের আইন অনুযায়ী ওভারটাইমসহ সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টা ৬০ ঘণ্টার বেশি হওয়ার কথা নয়।
এ বিষয়ে তৈরি পোশাকশ্রমিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, শ্রমিকদরে নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠন করতে সরকারকে অনুরোধ করে বিজিএমইএ।শ্রমিকের প্রয়োজনীয়তা, শিল্পের সক্ষমতা ও গত পাঁচ বছরের মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিয়ে মজুরি নির্ধারণ হবে।
আরকে// এআর
আরও পড়ুন