ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

বিদ্যুৎ অফিসের সুমতি

সংবাদ প্রকাশের পর সংযোগ বিচ্ছিন্ন ট্রান্সফর্মার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৫০, ২২ জুন ২০১৮ | আপডেট: ২২:২৭, ২২ জুন ২০১৮

অবশেষ সুমতি আসলো বিদ্যুৎ অফিসের। ঝুঁকিপূর্ণভাবে ট্রান্সফর্মার বসানোর ইস্যুতে সংবাদ প্রকাশের পর সেটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ডিপিডিসি। তবে শেষ পর্যন্ত এখনও ট্রান্সফর্মারটি সরিয়ে না নিলেও এ প্রক্রিয়া চলছে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

চলতি মাসের শুরুতে রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে একটি বহুতল ভবনের দেয়াল ঘেঁষে ট্রান্সফর্মার বসায় ডিপিডিসি। এ বিষয়ে গত ১৯ জুন “হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যায় ট্রান্সফরমার"। শিরোনামে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইটিভি অনলাইন (পূর্বের সংবাদ পড়ুন এখানে)। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম পরবর্তীতে একই বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করে। সংবাদ প্রকাশের পর সামাজিক মাধ্যমসহ সর্বত্র আলোড়ন তৈরি করে প্রতিবেদনটি। বিশেষ করে ফেসবুকভিত্তিক গ্রুপ ‘ড্যু সামথিং এক্সেপশনাল’ এ বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। এরপরই একরকম টনক নড়ে বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন সরকারি মালিকানার এই প্রতিষ্ঠানটির কর্তাব্যক্তিদের।

আজ ২২ জুন শুক্রবার ঐ ট্রান্সফরমারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি ভবন মালিকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ট্রান্সফর্মারটির বিষয়ে প্রতিবেদন জানতে চাওয়া হয়েছে মাঠ পর্যায়ের দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মানিকনগর এলাকার নির্বাহী পরিচালক (এনওসিএস) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, “ভবন মালিক আমাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর একটি আবেদন করেছেন। এর প্রেক্ষিতে ঐ ট্রান্সফরমারটির বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কার্যালয় থেকে। প্রতিবেদনের পর ট্রান্সফরমারের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। তবে ঝুঁকিপূর্ণ হলে সরে যাবে সেটি। তার আগ পর্যন্ত যেন কোনরকম সমস্যা না হয় সেজন্য ট্রান্সফরমারটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলো”।

এদিকে ডিপিডিসি’র এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ভবনটির মালিক আলমগীর খান। পাশাপাশি গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসাও করেছেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত ট্রান্সফরমার না সরে যাওয়া পর্যন্ত দুশ্চিন্তা কাটছে না বলেও জানান তিনি। আলমগীর খান বলেন, “আপনাদের করা খবর তো বিদ্যুৎ অফিসের সবার মোবাইলে মোবাইলে। ধন্যবাদ আপনাদেরকে, ধন্যবাদ ইটিভি অনলাইনকে। আজ সকালে (শুক্রবার) বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন এসে ট্রান্সফরমারটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। তবে তারা শুরুতে বলেছিল যে, ট্রান্সফর্মার সরানোর জন্যই তারা এসেছে”।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “আমি সব নিয়ম মেনেই ভবনটি তৈরি করেছি। আর তাই আমার ভবনের সামনে জায়গা আছে। মূল সড়কের অনেক ভবনই নিয়ম মেনে তৈরি করা হয়নি। আর তাই তাদের ভবনের সামনে জায়গাও নাই। তারাই বিদ্যুৎ অফিসকে প্ররোচনা দিয়ে আসছে যেন আমার ভবনের সামনে ট্রান্সফরমারটি থাকে। কারণ ট্রান্সফরমারটি সরানো হলে কারও কারও ভবন ভাঙ্গা লাগতে পারে। তবে আশা করি বিদ্যুৎ অফিস আমাদের জান মালের নিরাপত্তা বিবেচনায় নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে”।  

ডিপিডিসি’র এই পদক্ষেপকে ইতোমধ্যে সাধুবাদ জানাতে শুরু করেছেন রাজধানীবাসীরা। সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমগুলোতে ডিপিডিসি’কে ধন্যবাদ জানাচ্ছে সাধারণ মানুষেরা। পাশাপাশি ট্রান্সফরমারটি যেন শেষ পর্যন্ত নিরাপদ কোন জায়গায় সরানো হয় সেই দাবিও জানান তারা।      


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি