ঢাকা, শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪

সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচন হবে না: শিল্পমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:১৭, ৭ জুলাই ২০১৮

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, দেশের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের বিরোধীতা করে বিএনপি এখন আমেরিকার কাছে ধর্ণা দিচ্ছে। কোনো বড় রাষ্ট্রের চাপে বা হুমকিতে সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচন এদেশে অনুষ্ঠিত হবে না। শনিবার দুপুরে ঝালকাঠি শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘জেলা পরিষদ’ আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু, পায়রা বন্দর এবং দক্ষিণাঞ্চলে রেল লাইন চালু করতে হলে আগামী নির্বাচনে অবশ্যই আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে হবে।  আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে।

আমির হোসেন আমু বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রত্যেক জেলায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সমন্বয় করার জন্য জেলা গভর্নর সিস্টেম চালু করেছিলেন। কারণ বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন জেলার সর্বময় ক্ষমতা থাকবে একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির হাতে। কিন্তু ৬৪ মহকুমাকে জেলায় রুপান্তর এবং জেলা গভর্নর সিস্টেম চালু করার আগেই ৭৫’ এর ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধীদের চক্রান্তে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে সে পরিকল্পনাকে ধ্বংস করে দেয়।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে জেলা পরিষদকে শক্তিশালী করার কাজে হাত দেন এবং তৃণমূল জনপ্রতিনিধিদের ভোটে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচনের আইন করেন। কারণ শেখ হাসিনা মনে করেন যারা তৃণমূলে জনসেবা করেন তারাই আসল জনসেবক এবং যারা তৃণমূলে দল করেন তারাই প্রকৃত দল।

মন্ত্রী আরও বলেন, এদেশ থেকে আওয়ামী লীগের নাম মুছে ফেলার জন্য ১৯৭৫ সালে শুধু বঙ্গবন্ধুকে নয় বঙ্গবন্ধুর পর যারা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিতে পারে এমন নেতাদেরও জেলখানায় হত্যা করেছিল। কিন্তু তৃণমূল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শেকড় থাকায় ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ আবার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসে। আবার স্বাধীনতা বিরোধীরা নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করে। সেই ষড়যন্ত্রের কারণেই ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসে এবং ক্ষমতায় এসেই তারা শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র শুরু করে ।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার মো. শাহ-আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও ব্ক্তব্য রাখেন ঝালকাঠি ১ আসনের সংসদ সদস্য ও ধর্মমন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ বজলুল হক হারুন, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. জোবায়েদুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, পৌর মেয়র মো. লিয়াকত আলী তালুকদার, নলছিটি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. ইউনুস লস্কর, রাজাপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা আক্তার লাইজু, জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুর রশীদ, শারমীন মৌসুমি কেকা ও আলহাজ্ব সালাহউদ্দিন আহমেদ সালেক।

কেআই/ এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি