সঞ্চয়পত্রের সুবিধা নিচ্ছে ধনীরাও (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১০:৫৫, ২১ মে ২০১৮
আর্থিকভাবে অনগ্রসর জনগনের কথা মাথায় রেখে সরকার সঞ্চয়পত্রের ব্যবস্থা করলেও আইনের বাধ্যবাধকতার অভাবে এর সুবিধা নিচ্ছে ধনীরাও। প্রতি বছরই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে সঞ্চয়পত্র বিক্রি। এ’কারণে ব্যাংক, পুঁজিবাজার সহ পুরো আর্থিকখাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। সংকট নিরসনে সঞ্চয়পত্রের শ্রেণী বিন্যাসের পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
নারী, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী, প্রতিবন্ধী- সর্বোপরী সমাজের অনগ্রসর মানুষদের নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় আনা সহ দেশের অর্থনীতির কল্যাণে চালু করা হয়েছিলো জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর।
জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংক সহ তফসিলী ব্যাংক এবং ডাকঘর থেকে সঞ্চয়পত্র ক্রয় ও নগদায়নের সুযোগ পান গ্রাহকরা।
১১টি ধাপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমানত রাখা হয় পরিবার সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে। চলতি অর্থবছরে ৩০ হাজার ১শ’ ৫০ কোটি টাকা টার্গেট থাকলেও মার্চ পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ সঞ্চয়পত্র। এ’জন্য সরকারকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি সুদ দিতে হয়েছে। যা অর্থনীতিতে নেতিবাচক ভূমিকা রাখছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
সঞ্চয়পত্রে যে কোন নাগরিক বিনিয়োগ করতে পারায় ধনীরা সুযোগ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
তবে, অস্বচ্ছল ও প্রান্তিক মানুষের জন্য বিশেষ সুবিধা আর সাধারণ মানুষের জন্য প্রচলিত নিয়ম করা হলে এর সুফল সংশ্লিষ্টরাই পাবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
জাতীয় অর্থনীতিকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে দ্রুত এ’ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন