সন্দ্বীপের তিন কৃতি সন্তানের স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
প্রকাশিত : ২৩:০৮, ১২ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ১৬:০৫, ১৪ আগস্ট ২০১৭
সন্দ্বীপের প্রয়াত তিন কৃতি সন্তানের স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারস ইন্সটিটিউশনে শনিবার বিকেল ৫ টায়, সাউথ সন্দ্বীপ হাইস্কুল প্রাক্তন ছাত্র-শিক্ষার্থী সমিতির উদ্যোগে এ স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এই তিন কৃতি সন্তান হলেন শিক্ষাবিদ, ভাষাতত্ত্ববিদ, নাট্যকার ও নজরুল গবেষক ড. রাজিব হুমায়ুন, মেজর (অব.) সাহাব উদ্দিন ও সমাজকর্মী মুছা আহমেদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর সাখাওয়াত আনসারি। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রাক্তন শিক্ষার্থী সমিতির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ।
প্রধান অতিথি প্রফেসর সাখাওয়াত আনসারি বলেন, বাংলাদেশে যে ক`জন ব্যক্তি অল্প বয়সে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন তাঁদের মধ্যে ড. রাজিব হুমায়ুন অন্যতম। তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাকালীন ১৯৯২ সালে ভাষাতত্ব বিভাগ পূর্ণাঙ্গ বিভাগ হিসেবে রূপ পায়। বাংলা ভাষায় যে ক`টা ভালো গবেষণা হয়েছে তার মধ্যে ড. রাজীব হুমায়ুনের গবেষণা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। তাঁর রচনায় মাটি ও মানুষের কথা উঠে এসেছে। এছাড়াও তিনি এই বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
কবি ও সাবেক সচিব আসাদ মান্নান তার স্মৃতিচারণে বলেন, সন্দ্বীপের জারি-সারি গানের উপর তথ্য জানতে ১৯৬৮ সালের এক সকালে আমার বাবার কাছে আসেন তিনি। এত সুন্দর সুদর্শন পুরুষ যেন আমাদের সারা উঠোনে আলো ছড়িয়ে গেলেন। আমাদের পাড়ায় তিনি নজরুল-রবীন্দ্র বই দিয়ে `নজরুল পাঠাগার` গড়ে তোলেন। সেখানে প্রচুর বই ছিল যা থেকে আমার লেখালেখির পথ শুরু হয়েছিল।
প্রাক্তন শিক্ষার্থী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস এম জাহিদুল আলম সুমনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন স্মরণসভার আহ্বায়ক সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোশাররফ হোসেন খাদেম, ঢা.বি প্রফেসর আকতার হোসেন, বিপিএমপিএ মহাসচিব ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আওয়াল, সচিব আব্দুর রহমান, বিগ্রেডিয়ার নুরুল হক, আলি হায়দার চৌধুরী বাবলু প্রমুখ। এছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন প্রয়াত তিন কৃতিসন্তানের পরিবার পরিজন।
অনুষ্ঠানের শেষাংশে স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা মাস্টার নুরুল হুদাসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, প্রাক্তন শিক্ষার্থী যারা প্রয়াত হয়েছেন তাঁদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়। দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন মাওলানা ফখরুজ্জামান খান।
কেআই/ডব্লিউএন
আরও পড়ুন