ঢাকা, বুধবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

সন্ধান মিলেছে ৪০ হাজার বছর আগের ঘোড়ার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:২৮, ১৩ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ১৫:৩০, ১৩ আগস্ট ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

বিজ্ঞানীরা উদ্ধার করেছেন চল্লিশ হাজার বছর আগের একটি ঘোড়া শাবকের হিমায়িত দেহ । বিজ্ঞানীরা বলছেন, এতোদিন ঘোড়া শাবকটি সাইবেরিয়ার ভূগর্ভস্থ হিমায়িত অঞ্চলে সংরক্ষিত ছিলো।

বাতাগাইকার নিম্নাঞ্চল থেকে এ ঘোড়া শাবকটি উদ্ধার করা হয়েছে। অনেকে বাতাগাইকার এ নিম্নাঞ্চলকে ‘পাতালে যাওয়ার রাস্তা’ হিসেবেও অভিহিত করেন। এটি সাইবেরিয়ার শীতলতম স্থানগুলোর একটি। রুশ ও জাপানি বিজ্ঞানীরা চল্লিশ হাজার বছর আগের এ ঘোড়া শাবক উদ্ধার করেন।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ঘোড়া শাবকটি উদ্ধারের ফলে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। তাদের ধারণা, মাত্র তিন মাস বয়সে ঘোড়া শাবকটি মারা যায়। উদ্ধার হওয়ার আগ পর্যন্ত ঘোড়া শাবকটির অটুট মৃতদেহটি ভূগর্ভস্থ হিমায়িত অঞ্চলে সংরক্ষিত ছিলো। তারা বলছেন, এ ঘোড়া শাবকটিই প্রাকৃতিকভাবে সংরক্ষিত বিশ্বের সবচেয়ে সুপ্রাচীন ঘোড়ার নজির।

রাশিয়ার উত্তরাঞ্চলের নর্থ-ইস্টার্ন ফেডারেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্টেফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব ইকোলজি এবং জাপানের কিনদাই বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এ উদ্ধার কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন। তারা বলছেন, পুরাতন প্রস্তরযুগের এ ঘোড়া শাবকটি উদ্ধারের ফলে অনেক মূল্যবান বৈজ্ঞানিক তথ্য পাওয়া যাবে।

ঘোড়া শাবকটির অবিকৃত মৃতদেহটি ভূমি থেকে ৩০ মিটার (৯৮ ফুট) গভীর থেকে উদ্ধার করেন বিজ্ঞানীরা। এটির গায়ের রঙ ছিলো ঘন বাদামি। সবচেয়ে অবাক করার ব্যাপার হলো ঘোড়া শাবকটির গায়ের পশম, শিং, লেজ, অভ্যন্তরীণ অঙ্গ সবকিছুই অবিকৃত অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া এর শরীরে কোনো ক্ষতও পাওয়া যায়নি।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ অঞ্চলের মাটির নমুনা বিশ্লেষণ করে চল্লিশ হাজার বছর আগের সময়ের অনেক অজানা তথ্য পাওয়া যাবে।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি