সবার সঙ্গে মিলে মুনতাহাকে খুঁজেছিল ঘাতকেরা
প্রকাশিত : ১১:৪২, ১২ নভেম্বর ২০২৪

সিলেটের কানাইঘাটে শিশু মুনতাহা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া চার আসামিকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আদালতে স্বীকারোক্তি প্রদানে রাজি না হওয়ায় আলোচিত এ মামলার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ আসামিদের রিমান্ডে নেয়।
এদিকে এ ঘটনায় ক্ষোভ বিরাজ করছে সিলেটে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও তদন্তের পর বিচার দাবি করেছেন সাধারণ মানুষ।
রোববার সিলেটের কানাইঘাটের বীরদল গ্রামে পুঁতে রাখা লাশ সরানোর সময় উদ্ধার হয়েছিল শিশু মুনতাহার মরদেহ। এর আগে ৩ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিল মুনতাহা। বাড়ির পার্শ্ববর্তী ঘরের আলিফজান বেগম ও তার মেয়ে শামীমা বেগম মার্জিয়া গলায় রশি পেছিয়ে মুনতাহাকে হত্যা করে।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া আলিফজান, মার্জিয়া, নাজমা ও ইসলামউদ্দিনকে সোমবার বিকেলে সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শামসুল আরেফিন আদালতে আসামিদের ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে আদালত তাদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিরা আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি প্রদান না করায় অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের রিমাণ্ডে নেওয়া হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। এতে হত্যার মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে আশাবাদ কর্মকর্তাদের।
পুলিশের ধারণা, পরিবারের সঙ্গে পূর্ববিরোধের জের ধরে ৬ বছরের শিশু মুনতাহাকে হত্যা করেছে ঘাতকরা।
স্থানীয়দের ভাষ্য, গত তিন নভেম্বর দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিল মুনতাহা আক্তার জেরিন। সেদিন বিকাল থেকেই নানা দিকে খোঁজ চালানো হয় নিঁখোজ মুনতাহার। সেদিন থেকে মুনতাহাকে খুঁজতে সবার সঙ্গে অংশ নিয়েছিলেন ঘাতক মার্জিয়া ও তার মা আলিফজানও।
তারা মুনতাহার পরিবারসহ গ্রামের অন্যান্য মানুষের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নেন শিশুটির। তাদের আচরণে কেউ বুঝতেই পারেনি এই ঘটনায় তারা সম্পৃক্ত।
শিশু মুনতাহা হত্যার ঘটনায় ক্ষোভ বিরাজ করছে এলাকায়। ঘটনায় জড়িত সকল আসামিদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচার আইনে বিচার করার দাবি জানান সচেতন মহল।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হাসান বলেন, আমাদের গ্রামের এই ঘটনা একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। কানাইঘাটের জন্য একটি কলঙ্কিত অধ্যায়। আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই ধরনের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদেরকে যেন রেহাই না দেওয়া হয়। তাদেরকে আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।
এএইচ