সব উপাসনালয়ে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক
প্রকাশিত : ২০:৩১, ৮ নভেম্বর ২০২০
করোনা ভাইরাসের ব্যাপক বিস্তার রোধে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মাস্ক ব্যবহারে বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছে সরকার। সম্ভাব্য করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে মাস্ক পরা নিশ্চিত করার জন্য সরকার এ নির্দেশনা দিয়েছে।
রবিবার (৮ নভেম্বর) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, ইদানিং গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, সারাদেশে বিশেষ করে মসজিদ, মন্দির, গির্জাসহ অন্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মাস্ক ব্যবহারে শৈথিল্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউয়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের নির্দেশনা রয়েছে।
বলা হয়, মসজিদে সব মুসল্লির মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরে প্রবেশের জন্য প্রতি ওয়াক্ত নামাজের আগে মসজিদের মাইকে প্রচারণা চালাতে হবে। পাশাপাশি মসজিদ কমিটিকে মসজিদের ফটকে ব্যানার প্রদর্শন নিশ্চিত করতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানসহ অন্য ধর্মের অনুসারীরা আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরে উপাসনালয়ে প্রবেশ করবেন। মাস্ক পরে উপাসনালয়ে প্রবেশের জন্য প্রধান ফটকে ব্যানার প্রদর্শন সংশ্লিষ্ট উপাসনালয় কমিটিকে নিশ্চিত করতে হবে। ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ বিষয়ে সর্বসাধারণকে বিশেষভাবে সচেতন করতে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। স্লোগানটি সব উন্মুক্ত স্থান এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পোস্টার বা ডিজিটাল প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রাখতে হবে।
সেখানে জানানো হয়, সবাইকে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। কিছুক্ষণ পরপর সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।
দেশের সব মসজিদসহ অন্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে মাইকের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে সংশ্লিষ্ট বর্ণিত ঘোষণা আবশ্যিকভাবে প্রচার অব্যাহত রাখার জন্য স্থানীয় প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, বৌদ্ধ ধর্মীয় ট্রাস্ট ও খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদ ও উপাসনালয়ের পরিচালনা কমিটিকে অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এসি