সমুদ্র ঢেউয়ের সৌন্দর্য পেতে ঘুরে আসুন পতেঙ্গা
প্রকাশিত : ১৩:০৮, ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১৭:৪৮, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২
দেশের ভেতরে ভ্রমণের তীর্থস্থান চট্টগ্রাম। এখানে বহু পর্যটন স্পট রয়েছে। রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারসহ দৃষ্টিনন্দন পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত। চট্টগ্রাম ভ্রমণে গিয়ে পতেঙ্গা না দেখে ফিরে এলে আসলে আপনার ভ্রমনটা অসম্পূর্ণই রয়ে যাবে।
সৈকতকে রক্ষার জন্য দেওয়া হয়েছে বেড়িবাঁধে হেটে হেটে দেখতে পারেন সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মোহনীয় রূপ। বেড়িবাঁধের উপর লাগানো সবুজ ঘাস দেখে মন জুড়িয়ে যাবে। মনে হবে প্রকৃতির বুকে ঘাসের সবুজ কার্পেট।
সৈকতে ভ্রমণপ্রেমিদের ভিড় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করেছে সৈকত ভ্রমণের নানা রকম সুযোগ সুবিধা। যতায়াতের রাস্তাটাও স্ংস্কার করে আগের চেয়ে অনেক উন্নত করা হয়েছে। রয়েছে জোরদার নিরাপত্তা।
সৈকতের পাশে এবং ঝাউ বনে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের খাবারের দোকান। সমুদ্রে কিছুটা সময় কাটানোর জন্য রয়েছে স্পীড বোট। সমুদ্র তীরে ঘুরে বেড়ানোর জন্য রয়েছে সী বাইক ও ঘোড়া।
ঝাউবন ঘেষে উত্তর দিকে একটু সামনেই রয়েছে বঙ্গোপসাগর ও কর্ণফুলি নদীর মোহনা।
সৈকতে বেড়ানোর সময় অবশ্যই মনে রাখতে হবে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে সাঁতার কাটা নিরাপদ নয়। জোয়ারের সময় সমুদ্র হয়ে উঠে উত্তাল। আর তাই সমুদ্র সৈকতের ভাঙ্গল ঢেকাকে দেয়া হয়েছে কংক্রিটের দেয়াল আর বড় বড় পাথর খন্ডের বাধ।
পতেঙ্গার সৌন্দর্য অনেকাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে নেভাল সমুদ্র সৈকত। সেখানে গিয়ে আপনি দেখতে পাবেন কয়েক শত জাহাজ সুদ্রে ভেসে থাকার দৃশ্যসহ অনবিল সুন্দর একটা পরিবেশ।
কিভাবে যাবেন
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত অথবা নেভাল সমুদ্র সৈকতে যেতে হলে প্রথমে যেতে হবে চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম থেকে বাস অথবা সিএনজি যোগে যাওয়া যায় পতেঙ্গা সমুদ্র সেকতে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম সড়ক, রেল ও আকাশ পথেও যেতে পারেন।
কোথায় থাকবেন
পতেঙ্গা সমুদ্রের কাছেই থাকার জন্য রেস্ট হাউজ রয়েছে যার ভাড়া সর্বনিম্ন প্রায় সাড়ে চার হাজার টাকা। সস্তায় থাকতে হলে হলে চট্টগ্রাম শহড়ে থাকার জন্য বিভিন্ন মানের হোটেল রয়েছে।
/ এআর /
আরও পড়ুন