ঢাকা, সোমবার   ৩১ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণে সুন্দরবনের আগুন, চলছে সর্বশেষ তল্লাশি

বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১১:০৬, ২৫ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের ধানসাগর স্টেশন সংলগ্ন শাপলার বিল-তেইশের ছিলা এলাকার আগুন সম্পূর্ণরুপে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। প্রায় ৪৮ ঘন্টা পর আজ মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকালে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। 

এদিন সকাল আটটায় সরজমিনে দেখা যায়, পানিশূন্য ভোলা নদী পার হয়ে আগুনলাগা স্থানে যাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিস, বন বিভাগ ও স্বেচ্ছাসেবকরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখা যায় ফায়ার সার্ভিস, বন বিভাগ ও স্বেচ্ছাসেবকরা আগুন লাগা স্থান তেইশের ছিলা-শাপলার বিল এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছেন। 

তারা জানান, পুরো এলাকা তল্লাশি করে দেখা হবে, ঘটনাস্থল ও আশপাশের কোথাও আগুনের কুণ্ডলী বা ধোয়া রয়েছে কিনা। মনুষ্য চোখে পর্যবেক্ষণ শেষে, উড়ানো হবে বন বিভাগের ড্রোন। ড্রোন ক্যামেরায় আরও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে অন্য কোথাও আগুনের অস্তিত্ব রয়েছে কিনা। যদি কোথাও আগুনের অস্তিত্ব না থাকে তাহলে দাপ্তরিকভাবে সুন্দরবনের আগুন নির্বাপন হয়েছে বলে ঘোষণা দিবে বন বিভাগ।

রাতভর সুন্দরবনের আগুন নির্বাপনের কাজে নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স খুলনা কার্যালয়ের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সমা আরিফুল হক বলেন, রাতে জোয়ার আসার সাথে সাথে আমরা পানি ছিটানো শুরু করি। রাত সাড়ে তিনটা পর্যন্ত আমরা পানি ছিটিয়েছি। রাতে আমরা খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি, বনের কোথাও আগুনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এখনো আমাদের বনের ভিতরে রয়েছে, তারা সর্বশেষ পর্যবেক্ষণ করছেন। 

যদি আগুনের অস্তিত্ব  না পাওয়া যায়, তাহলে বন বিভাগের পক্ষ থেকে আগুন নির্বাপন হয়েছে বলে ঘোষণা দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা বিপুলেশ্বর রায় বলেন, রাতভর আমরা সবাই মিলে কাজ করেছি। এখন সর্বশেষ পর্যবেক্ষণ চলছে। জোয়ার আসার ৯টার দিকে আবারো পাম্প চালানো হয়েছে। এখনো কোথাও আগুনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। আশা করি অগ্নি নির্বাপন সম্পন্ন হয়েছে। তবে আমরা তল্লাশি চালাচ্ছি, সর্বশেষ ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে তল্লাশি করা হবে।

এর আগে গেল শনিবার সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের ধানসাগর স্টেশনের কলমতেজী বন টহল ফাঁড়ির টেপার বিলে আগুন লাগে। রোববার সকালে সেই আগুন নেভানো হয়। সুপ্ত আগুন ও ধোয়ার কুন্ডলী খুঁজতে বন বিভাগ ড্রোন ব্যবহার করে। তখন কলমতেজী এলাকা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে তেইশের ছিলা-শাপলার বিলে আগুনের অস্তিত দেখতে পায় বন বিভাগ। 

তাৎক্ষণিকভাবে বন বিভাগ, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক, ভিটিআরটি, সিপিজি সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সেখানে যাতে আগুন ছড়িয়ে না পড়ে, এজন্য ফায়ার লাইন তৈরি করে। আগুনের স্থল থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে ভোলা নদীতে পাম্প বসিয়ে, এদিন রাতেই পানি ছিটানো শুরু করে ফায়ার সার্ভিস ও বন বিভাগ। 

তবে ভোলা নদীতে পানি কম থাকা এবং ভাটার সময় শুকিয়ে যাওয়ায় নিরবিচ্ছন্নভাবে পানি ছেটাতে পারেনি ফায়ার ফাইটাররা। যার কারণে সোমবারও রাতভর কাজ করতে হয় বন বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের। এরপর সোমবার সকাল থেকে আবারো অগ্নি নির্বাপন কাজ শুরু হয়। রাতেও চলে আগুন নেভানোর কাজ। এখন চলছে সর্বশেষ পর্যবেক্ষণ। 

আগুন বনের কতটা এলাকায় ছড়িয়েছে এবং আগুনের উৎস্যের সে বিষয়ে বন বিভাগের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে কিছু না বললেও স্থানীয়রা বলছেন, শাপলার বিল ও কলমতেজী এলাকার প্রায় ১০ একর বনভূমি পুড়ে গেছে।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি