ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

সর্দি-কাশিতে কাবু? জেনে নিন কয়েকটি ঘরোয়া প্রতিকার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:০৭, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮

শীত বাড়ছে। আর শীত পড়তেই সর্দি-কাশি, বুকে শ্লেষ্মা বা কফ জমার সমস্যা দেখা যায়। বর্ষাকালের স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার কারণে বা শীতকালে সর্দি-কাশির সমস্যা বাড়ে। অনেকেই একে সাধারণ সমস্যা ভেবে উপেক্ষা করেন। কিন্তু এতে বিপদ আরও বাড়তে পারে। সময় মতো এই সমস্যার চিকিৎসা না করালে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে শ্বাসযন্ত্রে। তাই আজ জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু ঘরোয়া উপায় যা সর্দি-কাশি, বুকে কফ বা শ্লেষ্মা জমার সমস্যার উপশমে বিশেষ কার্যকরী।    

১) চায়ের পরিবর্তে পান করুন দারুণ একটি পানীয় যা সর্দি-কাশির প্রকোপ কমিয়ে দিতে অত্যন্ত কার্যকর। উষ্ণ গরম জলেতে লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন এই মিশ্রণ পানের অভ্যাস করুন। এ ছাড়াও গ্রিন টি পানের অভ্যাস করতে পারেন। উপকৃত হবেন।  

২) গলা খুসখুসে ভাব দূর করতে ব্যবহার করা হয় আদা চা। ২ কাপ জলে আদা কুচি দিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে সামান্য মধু মিশিয়ে খেলেই খুসখুসে ভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কারণ, আদা-মধুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান গলার গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া কমায় এবং ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

৩) প্রতিদিন ১ চামচ করে মধু খাওয়ার অভ্যাস করুন। মধু হচ্ছে উচ্চ ঔষধিগুণ সম্পন্ন একটি ভেষজ তরল। নিয়মিত মধু খাওয়ার অভ্যাস আপনার শ্বাসনালীর নানা সমস্যা দূরে রাখবে এবং সেই সঙ্গে সর্দি-কাশির সমস্যাও।

৪) কলা একটি নন-অ্যাসিডিক খাবার, যা গলা খুসখুসে ভাব কমাতে বিশেষভাবে কার্যকরী। এ ছাড়াও কলা একটি লো-গ্লাইসেমিক খাবার, যা ঠান্ডা লাগা বা সর্দি ভাব কমাতে সাহায্য করে।

৫) গাজরকে বলা হয় সুপার ফুড। গাজরের ভিটামিন ও মিনারেলস শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই কারণেই চট করে সর্দি-কাশির মতো রোগগুলো শরীরকে কাবু করতে পারে না। তবে ঠান্ডা লাগলে কাঁচা গাজর না খেয়ে সেদ্ধ করেই খাওয়া উচিত।

৬) সর্দি-কাশির সমস্যা হলে প্রচুর জল পান করুন। প্রচুর পরিমাণে জল খেলে শ্লেষ্মা পাতলা হয়ে আসে। শ্লেষ্মা পাতলা হয়ে গেলে সেটা ধীরে ধীরে বের হয়ে যায় নিজে থেকেই। তাই সর্দি-কাশির সমস্যায় সারাদিনে প্রচুর জল পান করতে থাকুন।

৭) সর্দি-কাশির সমস্যার কারণে যদি আপনার নাক বন্ধ থাকে তাহলে একটি কাজ করুন। সামান্য উষ্ণ গরম নুন জল নাক দিয়ে টানার অভ্যাস করুন। নাকের একপাশ দিয়ে টেনে অন্য পাশ দিয়ে বের করার চেষ্টা করুন। এতে জমে থাকা মিউকাস সহজেই বের হয়ে যাবে এবং সর্দি-কাশির সমস্যাও দ্রুত কমে যাবে।

৮) সমপরিমাণ লেবুর রসে মধুর মিশ্রণ গলার ভিতরের সংক্রমণ কমায়।

৯) সর্দি-কাশির সমস্যায় গরম জলের ভাপ বা সেঁক (Vapour) নেওয়া একটি অত্যন্ত কার্যকর পদ্ধতি। গরম জলের ভাপ নিলে সহজেই নাক দিয়ে শ্লেষ্মা বের হয়ে আসবে। তাই গরম জলেতে নুন মিশিয়ে নিয়ে দিনে দু’বার করে ভাপ (Vapour) নিন। জিনিউজ    

এসি 
    


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি