সহকর্মীদের শোক-শ্রদ্ধায় জুয়েলের চিরবিদায়
প্রকাশিত : ১৭:৪৪, ৩১ জুলাই ২০২৪
দীর্ঘদিন লড়াই করে মরণব্যাধি ক্যানসারের কাছে পরাজয় বরণ করলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী, নির্মাতা ও সঞ্চালক হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গতকাল সকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। একইদিন বাদ আসর গুলশানের আজাদ মসজিদে জুয়েলের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তারপর তাকে সমাধিস্থ করা হয় বনানীর কবরস্থানে।
গুণী এই শিল্পীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশের শোবিজ অঙ্গনে। নানা মাধ্যমে প্রিয় সহকর্মীর শোকগাথা রচনা করেছেন অনেকেই-
শুভ্র দেব
জুয়েল অনেক ক্রিয়েটিভ একজন মানুষ ছিল। তার অনেক জনপ্রিয় গান আছে। সত্যি কথা বলতে কি, জুয়েলের আসলে চলে যাওয়ার সময় হয়নি। আমি আজকে খুবই আপসেট। ওর চলে যাওয়া সংগীতাঙ্গনের এক অপূরণীয় ক্ষতি।
প্রিন্স মাহমুদ
জুয়েল ভাইয়ের সাথে আমার কাজ শুরু হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। তার সাথে আমার অনেক বোঝাপড়ার একটি সম্পর্ক ছিল। শুরুর দিকে আমরা একসাথে অনেকগুলো কাজ করেছিলাম এবং প্রত্যেকটি কাজই মানুষজন খুব পছন্দ করছিল। যেমন 'বোঝনি', 'ভালোবাসা কাকে বলে', 'তোমার কাছে', 'জীবন মরণ আমার কাছে'সহ বেশ কিছু গান। জুয়েল ভাইয়ের কাজের মাধ্যমে আমরা তাকে স্মরণ করব।
পার্থ বড়ুয়া
আমি জুয়েলের মুখে কোনোদিন নেগেটিভ কথা শুনিনি। তিনি চমৎকার একজন মানুষ ছিলেন। অত্যন্ত ভালো হৃদয়ের অধিকারী ছিলেন। তিনি শুধু সংগীতশিল্পী না, একজন ভালো নির্মাতা ছিলেন। আমার কোনো সমস্যা হলে তাকে ফোন দিতাম। তিনি সবসময় আমাকে সহযোগিতা করেছেন। মিউজিশিয়ান ও ডিরেক্টর একসাথে হওয়ার জন্য তিনি ছিলেন আমাদের সম্পদ। আমরা তাকে হারালাম। এটা আমাদের জন্য খুব কষ্টদায়ক।
জয় শাহরিয়ার
আমি জুয়েল ভাইয়ের খুব আদরের ছোট ভাই ছিলাম। তিনি খুব সাংগঠনিক এবং শক্ত মনের একজন মানুষ ছিলেন। আমরা একসাথে সংগঠন করেছি। তিনি ১৩ বছর ধরে ক্যানসারের সাথে যুদ্ধ করেছেন। কিন্তু তার জীবনযাপন দেখে বোঝার কোনো উপায় ছিল না। আল্লাহ তাকে ভালো রাখুন।
শহীদ
আমাদের জুয়েল ভাই আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। এটা খুব কষ্টদায়ক আমাদের জন্য। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। অসম্ভব ভালো মানুষ ছিলেন জুয়েল ভাই। আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন।
আঁখি আলমগীর
শাফিন ভাইয়ের পথ ধরে জুয়েল ভাইও চলে গেলেন আমাদের ছেড়ে। এটা মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি। শিল্পীর পাশাপাশি চমৎকার মনের মানুষ ছিলেন তিনি। তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর ভাষা নেই। আপনারা সবাই তার জন্য দোয়া করবেন। আসলে শিল্পীর তো মৃত্যু হয় না, আড়াল হয়। জুয়েল ভাই তার কাজের মাঝেই বেঁচে থাকবেন।
হাসান আবিদুর রেজা জুয়েলের কিছু জনপ্রিয় গান
এক বিকেলে (১৯৯৪)', 'আমার আছে অন্ধকার' (১৯৯৫), 'একটা মানুষ' (১৯৯৬), 'দেখা হবে না' (১৯৯৭), 'বেশি কিছু নয়' (১৯৯৮), 'বেদনা শুধুই বেদনা' (১৯৯৯), 'ফিরতি পথে' (২০০৩), 'দরজা খোলা বাড়ি' (২০০৯) এবং 'এমন কেন হলো' (২০১৭)।
কেআই//