ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস

‘সাক্ষরতা শিখন ক্ষেত্রের প্রসার’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০৫, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

‘সাক্ষরতা শিখন ক্ষেত্রের প্রসার’- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৮ সেপ্টেম্বর পালিত হচ্ছে ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে জাতীয় পর্যায়ের পাশাপাশি জেলা পর্যায়েও দিবসটি উদযাপন করা হবে।

প্রাথমিক এবং গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় পর্যায়ে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দিবসটির কর্মসূচি উদ্বোধন করা হবে।

এছাড়াও দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরে এদিন ক্রোড়পত্র প্রকাশ ও সংবাদ সন্মেলন করা হবে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে আলোচনা এবং মোবাইল ফোনে ক্ষুদে বার্তা প্রেরণ করা হবে। 

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে সাক্ষরতার হার ছিল ৭৩ দশমিক ৯ শতাংশ, ২০১৯ সালে ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশ, ২০২০ সালে ছিল ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশ। ২০২১ সালেও সাক্ষরতার হার একই রয়েছে বলে এ বছর জানানো হয়েছে।

গত ২৭ জুলাই বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক ফল প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, ২০২২ সালে বাংলাদেশে মোট (পুরুষ ও মহিলা) সাক্ষরতার হার (৭ বছর ও তদূর্ধ্ব) ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। পুরুষের সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৫৬, নারীদের সাক্ষরতার হার ৭২ দশমিক ৮২। সাক্ষরতার সর্বোচ্চ হার ঢাকা বিভাগে ৭৮ দশমিক ০৯ এবং সর্বনিম্ন হার ময়মনসিংহ বিভাগে ৬৭ দশমিক ০৯ শতাংশ।

আন্তর্জাতিক সংজ্ঞানুযায়ী, সাক্ষরতা হচ্ছে পড়া, অনুধাবন করা, মৌখিকভাবে ও লিখার বিভিন্ন পদ্ধতিতে ব্যাখ্যা করা, যোগাযোগ স্থাপন করা এবং গণনা করার দক্ষতা। অর্থাৎ সাক্ষরতা বলতে লিখতে, পড়তে, গণনা করতে ও যোগাযোগ স্থাপন করার সক্ষমতাকে বোঝানো হয়। সাক্ষরতাসম্পন্ন একজন ব্যক্তি বাংলাদেশের পঞ্চম শ্রেণি পাস করা শিক্ষার্থীর সমমানের হতে হবে বলে মানদ- নির্ধারণ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি