ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সাত মাথার খেজুরগাছ : রহস্য ভেদ হয়নি ৫০ বছরেও

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:০৮, ৩১ মে ২০১৮ | আপডেট: ১৩:১০, ১০ জুন ২০১৮

খেজুর গাছের মাথা কয়টা? প্রশ্ন শুনে ভাবছেন অবান্তর? অন্তত ফরিদপুরের এই খেজুরগাছটি দেখলে এই প্রশ্ন মনে উঁকি দিতেই পারে।
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার মনিকোঠা এলাকায় একটি খেজুরগাছ আছে যার মাথা সাতটি। প্রতিটি মাথা-ই প্রায় সমান উচ্চতার, যে কারণে কোনটি মাথা কোনটি কান্ড সেটি বুঝা কঠিন। মনিকাঠা বাজার থেকে সদরপুরের আটরশিগামী সড়কের পাশে সরকারি জমিতে খেজুরগাছটি জন্মেছে। গাছটি স্থানীয়দের কাছে ৫০ বছর ধরে এক ধরনের রহস্য হয়ে আছে।
স্থানীয়রা বছরের পর বছর ধরে এটি দেখছে, তবুও আগ্রহ কমেনি। যারাই এর কাছ দিয়ে যায় কিছুসময়ের জন্য দাঁড়ায়। উপরের দিকে তাকায়। আর মনে মনে বলে প্রকৃতির কী খেলা। এলাকায় নতুন কোনো আগন্তুক আসলে তো কথাই নেই। কেউ ব্যস্ত হয়ে পড়ে ছবি তোলায়, কেউ এর সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়ায়।
স্থানীয়রা জানান, গাছটি কে কবে লাগিয়েছিলেন, তা কেউ জানেন না। সড়কের পাশে সরকারি জায়গায় গাছটি বেড়ে উঠেছে। কবে গাছটির সাত মাথা বিস্তৃত হয়েছে, তা–ও কারও জানা নেই।
মনিকোঠা গ্রামের কৃষক আসগর আলী (৫৫) বলেন, ছোটবেলা থেকেই তিনি খেজুরগাছটি দেখছেন। ৫০ থেকে ৫৫ বছরের বেশি হবে গাছটির বয়স।
স্থানীয় স্কুলের শিক্ষক শিব শঙ্কর বলেন, আগে সদরপুর উপজেলায় অনেক খেজুরগাছ ছিল। ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে অনেক খেজুরগাছ কাটা পড়েছে। এখন আর তেমন করে খেজুরগাছ চোখে পড়ে না। তবে গাছটি সাত মাথাবিশিষ্ট বলেই হয়তো কেউ কাটতে সাহস পায়নি।
সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মতিয়ার রহমান বলেন, সচরাচর এমন খেজুরগাছ দেখা যায় না। অতিরিক্ত ফাইটো (বৃদ্ধি বা গ্রোথ) হরমোনের কারণে অনেক সময় এমনটি হতে পারে।
/ এআর /


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি