সাবেক ওসি প্রদীপের সম্পদের তথ্য চেয়ে ৭ দেশে চিঠি
প্রকাশিত : ০৮:৪৬, ২৩ মে ২০২৩
সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ হত্যা ও দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে থাকা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশের সম্পদের তথ্য চেয়ে ৭ দেশে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান।
সোমবার (২২ মে) চট্টগ্রাম বন্দরের শহীদ মো. ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে এক সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। সততা সংঘের উদ্যোগে চট্টগ্রাম বিভাগের ১০৪ উপজেলার শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজিত এই সমাবেশে দুদক কমিশনার প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদক কমিশনার বলেন, ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে মামলার রায় হয়েছে। আরও মামলা চলমান আছে। তার সম্পদের খোঁজে সাতটি দেশের সঙ্গে আমাদের পত্রালাপ হয়েছে।
আদালতের রায়ের পর দেশের বাইরে প্রদীপের আর কোনো সম্পদ আছে কি না সেটা জানতে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও কানাডার ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজ্যান্টস ইউনিটের কাছে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানান দুদক কর্মকর্তা।
আর কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলমান আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশেষ পেশার সদস্যদের টার্গেট করে দুদক কোনো তদন্ত করে না। চাকরিজীবীদের বিষয়ে তদন্ত করা হয়, এর বাইরে সাধারণ মানুষ যারা দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করেন তাদের বিষয়েও আমরা অনুসন্ধান করি এবং আইনগত ব্যবস্থা নেই। কোনো বিশেষ শ্রেণি-পেশার মানুষকে টার্গেট করে দুদক তদন্ত করে না।
এক প্রশ্নের জবাবে আমলাদের দুর্নীতির বিষয়ে ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই মন্তব্য করে দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান বলেন, আমরা চাকরিজীবীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করি, মামলা করি। এর বাইরে ব্যবসায়ীসহ যারা অবৈধ সম্পদ অর্জন করে তাদের বিষয়ে তদন্ত ও মামলা করে থাকি। সুতরাং সুনির্দিষ্টভাবে আমলাদের ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ চাকরিজীবীর মধ্যে আমলারাও আছেন।
এদিকে সততা সংঘের সমাবেশে উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থানের শপথ নেন। প্রধান অতিথি দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান বলেন, ছোটদের মস্তিষ্কে সততার বীজ বুনে সুশোভিতভাবে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হবে। সেজন্য সবার আগে দরকার নিজেদের পরিশুদ্ধতার মডেল হিসেবে উপস্থাপন করা।
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার প্রকাশ কান্তি চৌধুরীর সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (অর্থ) মো. শহীদুল আলম, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি প্রবীর কুমার রায়, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ফয়সাল মাহমুদ, পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, মহানগর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী এতে বক্তব্য রাখেন।
এএইচ
আরও পড়ুন