ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

সাভারে বেহাত হতে চলেছে জাতীয় অন্ধ সংস্থার সম্পদ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২১, ২৭ মে ২০১৭

নির্মাণ প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ি সমিতি আর অন্ধ সংস্থার কিছু অসাধু নেতার কারণে বেহাত হতে চলেছে সাভারে জাতীয় অন্ধ সংস্থার কয়েকশ’ কোটি টাকার সম্পদ। একশ’ ৬৪ শতাংশ জায়গায় নির্মিত দু’টি বহুতল ভবনে প্রায় ১ হাজার দোকানের জমিদারি ভাড়াও বন্ধ করে দিয়েছে দোকান মালিক সমিতি। টাকা আর ক্ষমতা দখলে অন্ধ সংস্থার বর্তমান মহাসচিবের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগও রয়েছে।
জাতীয় অন্ধ সংস্থা, সমাজের সুবিধা বঞ্চিত অন্ধদের পুনর্বাসন, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, চিকিৎসা, বাসস্থানসহ সার্বিক সহযোগিতার লক্ষ্যে ১৯৬৪ গড়ে তোলা হয় প্রতিষ্ঠানটি। নিজেদের ভিক্ষার ১০ পয়সা, ২৫ পয়সা, ৫০ পয়সা আর এক টাকা করে দিয়ে দশ বছর পর প্রায় ৪ লাখ টাকায় অন্ধরা নিজেদের উদ্যোগে সাভারে ক্রয় করে ১৬৪ শতাংশ জায়গা। পর্যায়ক্রমে তিন তলা দু’টি ভবনে দোকান তৈরি হয় প্রায় এক হাজার।
দোকান প্রতি সাধারণ ভাড়া গড়ে পাঁচ থেকে পনের হাজার টাকা পর্যন্ত। এই হিসেবে প্রতি মাসে আয় হয় প্রায় ৭০ লাখ টাকা। বছর ঘুরে দাঁড়ায় ৮ কোটি টাকারও বেশি। নিয়ম বা চুক্তি অনুযায়ি জাতীয় অন্ধ সংস্থাকে জমিদারি ভাড়া দেয়ার কথা দোকান মালিকদের। শুধু জমিদারি ভাড়া আদায় করা হলেও মাসে ১ হাজার টাকা করে হাজারখানেক দোকান থেকে আসার কথা প্রায় ১০ লাখ টাকা। আর সেটি বছর ঘুরে দাঁড়ায় এক কোটি ২০ লাখে। সেই হিসেবে গত দশ বছরে জাতীয় অন্ধ সংস্থার তহবিলে কয়েক কোটি টাকা থাকার কথা থাকলেও তহবিল একেবারেই শূণ্য।
অর্থ আর ক্ষমতার লোভে সংস্থার সাবেক মহাসচিবকে হত্যার অভিযোগও রয়েছে বর্তমান মহাসচিবের বিরুদ্ধে। এ’ মামলায় কিছুদিন জেলও খেটেছেন তিনি।
কোটি কোটি টাকার হিসাব আর সাবেক মহাসচিবকে হত্যার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, কোন সদুত্তর দিতে পারেননি বর্তমান মহাসচিব।
তবে, এর নিয়ন্ত্রক সংস্থা জাতীয় সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক জানান, নিবন্ধন দেয়া ছাড়া তাদের দায়িত্ব সীমিত। বছরে একবার অডিট করার কথা থাকলেও, অন্ধদের অসহযোগিতার কারণে সেটিও হয়ে ওঠে না।
সংস্থার শত শত কোটি টাকার সম্পদ রক্ষণাবেক্ষন করে সবাইকে পূণর্বাসনের দাবি জানিয়েছে অন্ধরা।


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি