ঢাকা, সোমবার   ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

সামাজিক বৈষম্য মৌখিক ও শারীরিক নিগ্রহের সমান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:২৬, ৩১ আগস্ট ২০২২

দিন দিন বেড়েই চলেছে সামাজিক বৈষম্য। এর রয়েছে বিভিন্ন ধরণ। সামাজিক বৈষম্য এমন এক ধরনের নির্যাতন, যা চোখ এড়িয়ে যায় বহু মানুষের। আর এ নিয়েই গবেষণা জানাচ্ছে, সামাজিক বৈষম্য মৌখিক কিংবা শারীরিক নিগ্রহের সমান।

সম্প্রতি মিসৌরি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা বলছে, সামাজিক বৈষম্যের শিকড় বেশ গভীর।

শিক্ষাক্ষেত্রে অনেক সময়েই হরেক রকমের হেনস্থার শিকার হতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। কেউ শারীরিক নিগ্রহের সম্মুখীন হন, কাউকে আবার শুনতে হয় কুকথা। তবে এই ধরনের নিগ্রহ ছাড়াও আর এক ধরনের নির্যাতন রয়েছে, যা চোখ এড়িয়ে যায় বহু মানুষের। 

তা নিয়েই গবেষণা করে ফল জানিয়েছে মিসৌরি বিশ্ববিদ্যালয়। সে গবেষণা বলছে, “সামাজিক বৈষম্য এমন এক ধরনের হেনস্থা, যা শারীরিক নিগ্রহ বা কটু কথার থেকেও বেশি দেখা যায়।”

আমেরিকার প্রায় ১৪ হাজার শিশুর উপর করা এই সমীক্ষা বলছে, কোনও শিশু যদি ছোটবেলায় সমাজিক বৈষম্যের শিকার হয়, তবে তার প্রভাব শারীরিক কিংবা মানসিক নিগ্রহের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। এমনকি এর প্রভাব থেকে যায় বড় হওয়ার পরেও।

গবেষকগণ আরও জানাচ্ছে, এমন এক শ্রেণির মানুষের কথা যারা প্রত্যক্ষ ভাবে আগ্রাসী নন। কিন্তু তাদের মধ্যে ‘নিগ্রহের মানসিকতা’ রয়েছে। এই ধরনের ব্যক্তিরা কিছু ক্ষেত্রে এমন এক বৈষম্যমূলক আচরণ করেন, যা হেনস্থার সমান।

গবেষকদের আরও দাবি, যারা নিগ্রহের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, তাদের ভূমিকাও এ বিষয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারা হয় নিগ্রহের ঘটনাকে প্রশ্রয় দেন, না হয় তা প্রতিরোধ করেন। 

তাই এই ধরনের ঘটনা ঘটলে, যারা ঘটনাটি সামনে থেকে দেখছেন, তাদের তা আটকাতে উদ্যোগী হওয়া জরুরি বলেই মত গবেষকদের।

সূত্রঃ আনন্দবাজার অনলাইন
আরএমএ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি