সারারাত পুলিশি নিরাপত্তায় কাকরাইল মসজিদ
প্রকাশিত : ২১:৫৯, ১০ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ২৩:১২, ১০ জানুয়ারি ২০১৮
রাজধানীর কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ জামাতের মারকাজে (অফিস) ভারতের দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের মুরব্বী মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভির অবস্থান করা নিয়ে সেখানে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। তাবলিগ-জামাতের একটি অংশ মসজিদটির ভেতরে প্রবেশ করতে চাইছেন। তবে পুলিশ তাদের ফিরিয়ে দিয়েছে।
কাকরাইল এলাকার আশপাশের বাসিন্দারা বুধবার রাতে এশার নামাজ পড়তে এলে তাদের ফিরিয়ে দেয় পুলিশ। পুলিশ তাদের অন্য মসজিদে নামাজ পড়তে অনরোধ করে।
সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা। নিরাপত্তার স্বার্থে বাইরে থেকে কাকরাইল মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের হেয়ার রোডের মর্ডান টিপটপ মসজিদে নামাজ পড়তে অনুরোধ জানাচ্ছেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এদিকে কাকরাইল মসজিদে সর্বসাধারণের প্রবেশ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার নাবিদ কামাল শৌবাল গণমাধ্যমকে জানান, বুধবার সারারাত কাকরাইল মসজিদ এলাকায় পুলিশি নিরাপত্তা থাকবে। মসজিদে নামাজের জন্য আসা মুসল্লিদের অন্য মসজিদে যাওয়ার অনুরোধ করছি। বিশৃঙ্খলা এড়াতে এবং নিরাপত্তার স্বার্থেই মুসল্লিদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে এখানে বিশৃঙ্খলা বা সংঘর্ষের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। সে কারণে রাজধানীর কয়েকটি জোনের পুলিশ সদস্য এখানে এসেছে। সারারাত পুলিশি নিরাপত্তা থাকবে এখানে।
বুধবার সকাল থেকেই রাজধানীতে তাবলিগের একটি অংশ মাওলানা সাদবিরোধী বিক্ষোভ করেছেন। শাহজালাল বিমানবন্দর সড়কে তারা অবস্থান নিলে বিমান বন্দর মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
ভারতের দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের মুরব্বী মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভি বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ব্যাংকক থেকে শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছান। বিকেলে তাকে কাকরাইল মসজিদের তাবলিগ জামাতের মারকাজে (অফিস) নেওয়া হয়।
মাওলানা সাদের সঙ্গে এ মুহূর্তে সাতজন মসজিদে অবস্থান করছেন বলে কাকরাইল মসজিদের এক খাদেম জানান নিশ্চিত করেছেন। মুরব্বী অতিথি খানায় নিরাপত্তায় রয়েছেন বলে জানান তিনি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কাকরাইল মসজিদে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। মূল গেটে অবস্থান নিয়েছে বিপুলসংখ্যক পুলিশ। মসজিদের গেটের আশপাশে সাংবাদিক ছাড়া কাউকে দাঁড়াতে দিচ্ছে না পুলিশ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কাকরাইল মসজিদে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। মূল গেটে অবস্থান নিয়েছে বিপুলসংখ্যক পুলিশ। মসজিদের গেটের আশপাশে সাংবাদিক ছাড়া কাউকে দাঁড়াতে দিচ্ছে না পুলিশ।
সন্ধ্যায় তাবলিগ-জামাতের অনুসারীদের একটি অংশ মসজিদ এলাকায় জড়ো হওয়ার ১৫ মিনিট পর তাদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। সন্ধ্যার পর ট্রাকে করে কাকরাইল মসজিদের দিকে আসতে থাকেন একটি দল। তারা তাবলিগ-জামাতের মুরুব্বি মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভীবিরোধী স্লোগান দেন। পরে পুলিশ তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।
আর/টিকে
আরও পড়ুন