সিকোট এর ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন অধ্যাপক আমজাদ হোসেন
প্রকাশিত : ১৯:৩৮, ৮ নভেম্বর ২০২০ | আপডেট: ১৯:৪৮, ৮ নভেম্বর ২০২০
অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন
সারা বিশ্বের অর্থোপেডিক সার্জনদের নিয়ে গঠিত অলাভজনক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব অর্থোপেডিক সার্জারি অ্যান্ড ট্রমালোজি (সিকোট)। এবার এই সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট অর্থোপেডিক সার্জন, বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির সাবেক সভাপতি ও ল্যাবএইড হাসপাতালের অর্থোপেডিক ও আর্থোপ্লাস্টি সেন্টারের চিফ কনসালট্যান্ট ও বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন।
আগামী ২০২০-২০২২ সালের নির্বাহী কমিটিতে তাঁকে এই সংস্থাটির ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। বেলজিয়ামে অবস্থিত বিশ্বের ১১০টি দেশ সিকোট এর সদস্য।
আন্তর্জাতিক অর্থোপেডিক সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেনের নির্বাচন উপলক্ষে রবিবার ল্যাবএইড হাসপাতালের পক্ষে এক সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ল্যাবএইড হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিফ কনসালট্যান্ট অধ্যাপক ডা. এম খাদেমুল ইসলাম, চিফ অ্যানেসথেটিস্ট অ্যান্ড হাসপাতাল ডিরেক্টর ডা. মাহবুবুল ইসলাম, মেডিক্যাল ডিরেক্টর ব্রিগেডিয়ার (অব.) জেনারেল ডা. মো. আসাদুল্লাহ হিল গালিব, জেনারেল ম্যানেজার ইফতেখার আহমেদ, এজি এম ফরিদা বেগম প্রমুখ। এ সময় ল্যাবএইড হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স অন্যান্য স্টাফরা উপস্থিত ছিলেন।
ডা. এম. আমজাদ হোসেন ১৯৫৩ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর জেলার সুখদেবপুর গ্রামে। পিতার নাম আব্দুল বাকী মণ্ডল ও মা আমেনা খাতুন। পড়াশোনার হাতেখড়ি বাড়ি থেকে প্রায় দু’ মাইল দূরে প্রাইমারি স্কুলে, যেখানে ক্লাস টু পর্যন্ত পড়ে ভর্তি হন চিরিরবন্দর প্রাইমারি স্কুলে। চিরিরবন্দর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৮ সালে এসএসসি, ১৯৭০ সালে দিনাজপুর সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ভর্তি হন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে। এখান থেকে এমবিবিএস পাস করেন ১৯৭৮ সালে।
অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় ঊরুতে গুলিবিদ্ধ হলে ভারতের সামরিক হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধুর আমন্ত্রণে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা দিতে দেশে আসা আন্তর্জাতিক বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জন ডা. আর জে গাস্টের অধীনে অর্থোপেডিক চিকিৎসা শুরু করেন।
এরপর আমজাদ হোসেন এর নেতৃত্বে দেশে কোমর ও হাঁটু প্রতিস্থাপন (হিপ অ্যান্ড নি রিপ্লেসমেন্ট) সার্জারিতে এসেছে বৈপ্লবিক সাফল্য। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে এ পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি এ ধরনের সার্জারি সম্পন্ন করেছেন। তিনি একজন সমাজ সেবকও। দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে তিনি গড়ে তুলেছেন স্বনামধন্য আমেনা-বাকি রেসিডেনশিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। তিনি এবি ফাউন্ডেশনেরও প্রতিষ্ঠাতা।
এসি
আরও পড়ুন