সিরাজগঞ্জের শীতল পাটি যাচ্ছে ইউরোপ-আমেরিকায়
প্রকাশিত : ১৩:৫৫, ১ জুলাই ২০২৪
গরমে শীতল পরশ দেয়া বাংলার প্রাচিন ঐতিহ্য সিরাজগঞ্জের শীতল পাটি। ইউনেস্কো স্বীকৃতির পর বিশ্ব দরবারে এই পাটি সমাদৃত হচ্ছে। অনন্য নকশার স্বাস্থ্য সম্মত শীতল বিভিন্নভাবে এখন বাজারজাত হচ্ছে ইউরোপ-আমেরিকাতে। আগের চেয়ে দাম ও দেশ জুড়ে চাহিদাও বেশি বাড়ায় এ শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা অনেকটাই উচ্ছ্বসিত।
তবে উৎপাদন খরচের চেয়ে পাইকারী মূল্য তেমন না থাকায় দেশে বাজার সৃষ্টি ও অগ্রগতিতে সরকারি সহযোগীতা চেয়েছেন পাটি শিল্পীরা।
কামারখন্দ উপজেলার ঝাঐল, চাঁদপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চুনিয়াহাটি ও কালিয়া হরিপুর হচ্ছে শীতল পাটির গ্রাম। গ্রামের আশপাশ জুড়ে থাকা জমিতে হয়েছে পাটি তৈরির প্রধান উপকরণ বেত চাষ। এখান থেকে এ বেত সংগ্রহ করে গ্রামগুলোতে নানা প্রক্রিয়ায় শীতল পাটি নিঁখুত বুননে ঝাঐল-চাঁদপুর গ্রামের কর্মব্যস্ত নারী-পুরুষ।
পাটির চলতি প্রধান মৌসুমে বাজার চাঙ্গা থাকায় উঠান ও ঘরের বারান্দায় হরেক নকশায় বুননে দিন-রাত পাড় করছে শিশু, বৃদ্ধসহ নানা বয়সীরা।
বর্তমানে প্রতিটি পাটি পাইকারী বিক্রি হচ্ছে হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা মূল্যে। এতে মজুরি বাদে তেমন লাভ না হওয়ায় অন্যান্য দেশে বাজারজাতসহ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দাবি করলেন পাটিশিল্পীরা।
সনাতন ধর্মালম্বী এসব এলাকার প্রায় দেড় সহস্রাদিক মানুষের এখনও প্রধান পেশা এই শীতল পাটি ব্যবসা ও বুনন। যেখানে নারীরাও জীবিকা খুঁজে পেয়েছের। তবে বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে স্বল্প মজুরিতে অসন্তষ্ট তারা।
পাশাপাশি এ শিল্পে প্লাস্টিকের পাটির বিরূপ প্রভাব পড়েছে।
চলতি গ্রীষ্মের প্রধান মৌসুমে শীতল পাটির চাহিদা বেশ, বললেন পাটি শিল্পীরা।
২০১৭ সালে ইউনেস্কোর স্বীকৃতির পর পৃথিবীর অনেক স্থানেই শীতল পাটির কদর বেড়েছে। বর্তমানে ইউরোপ আমেরিকায় এ পাটি বাজারজাত করছেন ব্যবসায়ীরা।
এএইচ
আরও পড়ুন