সিরাজগঞ্জে ৮টি গ্রামে বন্যা-টর্নেডোয় ক্ষতিগ্রস্ত ৫শ পরিবারে নেই ঈদের আনন্দ
প্রকাশিত : ১৩:০৮, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | আপডেট: ১৩:০৮, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের ৮টি গ্রামে বন্যা-টর্নেডোয় ক্ষতিগ্রস্ত ৫শ পরিবারে নেই ঈদের আনন্দ। কোরবানী দেয়া দূরের কথা, সন্তানের মুখে সেমাই তুলে দেয়াই তাদের জন্য এখন কষ্টসাধ্য। পুনর্বাসনের অভাবে এখনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারছেন না এসব এলাকার মানুষ। খোলা আকাশের নিচে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন তারা।
রিক্সা-ভ্যান চালক আব্দুস ছোবাহানের স্ত্রী সাহিদা- নিস্ফলক চেয়ে থাকেন স্বামীর পাতের দিকে। অনেক দিন পাতে পড়ে না, মাছ-মাংস। ঘূর্ণিঝড় আর বন্যার পর থেকে ৩ সন্তানকে নিয়ে পান্তা-মরিচ দিয়েই পেটের ক্ষুধা মেটাচ্ছেন তারা।
ঈদ উপলক্ষ্যে নতুন পোশাক আর পশু কেনার আমেজ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লেও ভিন্ন চিত্র সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বন্যা আর ঝড় কবলিত গ্রামগুলোতে। প্রাকৃতিক দূর্যোগের সাথে যুদ্ধ করে টিকে থাকা যমুনা পাড়ের মানুষগুলোর দিন কাটছে খোলা আকাশের নিচে।
ঘর নেই, খাবার নেই- তাই শুধু ঈদ আনন্দ নয়, সবকিছুর ভার সৃষ্টিকর্তার উপর ছেড়ে দিয়েছেন সর্বহারা এসব মানুষ।
আর নতুন কাপড় পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছে এসব ছোট্ট শিশুও।
জেলার শাহজাদপুরের ৮টি গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া টর্নেডোর আঘাতে ভেঙ্গে পড়ে কয়েক হাজার কাঁচা ঘর-বাড়ি ও গাছপালা। আহত হয় শতাধিক মানুষ। মাস কেটে গেলেও পুনর্বাসনের অভাবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারছেন না দূর্গত এই মানুষগুলো।
আরও পড়ুন