সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোন বিনিয়োগের আকর্ষণীয় স্থান
প্রকাশিত : ১১:০২, ৯ মার্চ ২০২৩ | আপডেট: ১১:০৪, ৯ মার্চ ২০২৩
বাংলাদেশে যে কর্মপরিবেশ তাতে চীনসহ সমগ্র বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের এখন অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোন বিনিয়োগের যে ক্ষেত্র, এখানে আসলে সবাইকে মুগ্ধ করবে। অনন্য প্রাকৃতিক পরিবেশ, শিল্প বিকাশে পণ্য উৎপাদনে যাবতীয় সবকিছু বিদ্যমান রয়েছে।
চীনের সাংহাই ডংজু গ্রুপ, আনহুই এগ্রিকালচার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ডেভলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড, সেনজেন ফুমানজিয়া ইনভেসমেন্ট ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিনিধি মি. শেন জিংহেন বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড়ে অবস্থিত সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোন পরিদর্শন শেষে একুশে টেলিভিশনের প্রতিনিধির সঙ্গে আলাপ কালে একথা বলেন।
তিনি বলেন, স্থল, জল ও রেলপথে উৎপাদিত পণ্য সরবরাহে ব্যবস্থা থাকায় এখানে এগ্রোভেজ, ইলেকট্রনিক প্রোডাক্ট, টেক্সটাইল, গার্মেন্ট ইকুইপমেন্ট, চামড়াজাত পণ্য উৎপাদন, সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের যন্ত্রাংশসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য উৎপাদনের কারখানা স্থাপন করা যেতে পারে।
শেন জিংহেন বলেন, ইকোনমিক জোনের জায়গাটা আমাদের খুবই পছন্দ হয়েছে। যা শিল্পবান্ধব অর্থনীতির অগ্রগতির জন্য উপযোগী। এসব অর্থনৈতিক জোনে বিদেশিদের জন্য শিল্পবান্ধব নীতিমালা করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা এখান থেকে বিভিন্ন ছবি এবং ভিডিও সংগ্রহ করে নিয়ে যাবো আরো বিনিয়োগকারীকে আকৃষ্ট করার জন্য। আশা করছি, চীনের বিনিয়োগকারীরা এখানে ভারী শিল্প কারখানা স্থাপনে আগ্রহী হবেন। এজন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।
এ সময় তার সঙ্গে মিস স্কুই মাই, সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোনের পরিচালক জাবির সিনেটর শেখ মনোয়ার হোসেন, বিনিয়োগকারী সহযোগী ড. জান্নাত আরা তালুকদার হেনরীসহ ইকোনমিক জোনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদে ১০৪১ একর জায়গায় নির্মিত হচ্ছে সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোন। এর মোটামুটি কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। ইতিমধ্যে দেশের ১৭টি কোম্পানি এখানে শতাধিক একর জায়গা বরাদ্দ নিয়েছে।
ইকোনমিক জোনের পরিচালক শেখ মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, ৪শ’টি ছোট-বড় কারখানা উপযোগী এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে আগামী বছরের শুরুতে ভারী সব কারখানা স্থাপন শুরু হলে পাঁচ লাখ মানুষের কর্মের সুযোগ হবে।
এএইচ
আরও পড়ুন