সিলেটে পরিবহন ধর্মঘট, ভোগান্তিতে সর্বসাধারণ
প্রকাশিত : ১১:৫০, ২২ নভেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১১:৫৩, ২২ নভেম্বর ২০২১
পাঁচ দফা দাবিতে সিলেটে পরিবহন ধর্মঘট চলছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা। ভোর থেকে ব্যক্তিগত যানবাহন ও রিক্সা ছাড়া আর কোনো বাহনের দেখা পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির ডাকে সোমবার ভোর ৬টা থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়। ধর্মঘটের ফলে স্কুল, কলেজ ও অফিসগামী যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। বিশেষ করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এসএসসি ও স্নাতক পরীক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ।
সিলেট থেকে কোনো দূরপাল্লা বা আন্তজেলা বাস ছেড়ে যায়নি। সিলেট ছাড়াও বিভাগের বাকি ৩ জেলাতেও একইভাবে পালিত হচ্ছে ধর্মঘট।
যাত্রীদের অভিযোগ, কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে তাদের। এ ছাড়া নগরীর প্রবেশপথ কদমতলী বাসস্ট্যান্ড, হুমায়ুন রশীদ চত্বর, টিলাগড়, কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পরিবহন শ্রমিকদের সব ধরণের গাড়ি আটকাতে দেখা গেছে।
হবিগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সজিব আলী বলেন, “আমরা পাঁচ দফা দাবিতে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। এতে বলা হয়, ২১ নভেম্বরের মধ্যে দাবি মানা না হলে বিভাগের সব শ্রমিক কর্মবিরতি পালনে বাধ্য হবে।”
কিন্তু দাবি না মানায় এবং আল্টিমেটাম পার হওয়ায় এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। এর আওতায় সিলেট বিভাগের সব ধরনের পরিবহন বন্ধ রয়েছে। এটা ধর্মঘট নয়, শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করছে। পরবর্তীতের আলাপ আলোচনা করে আমাদের করণীয় জানানো হবে।
শ্রমিকদের ৫ দফা দাবিগুলো হলো—
১. সিলেট জেলা অটোটেম্পু ও অটোরিকশাচালক শ্রমিক জোটের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা এবং প্রহসনমূলক নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তথাকথিত ঘোষিত কমিটি বাতিল করা ও মনোনয়ন ফি বাবদ আদায় করা লাখো টাকা ফেরত দেওয়াসহ সিলেটের আঞ্চলিক শ্রম দপ্তরের উপপরিচালককে প্রত্যাহার
২. সিলেট জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের ওপর কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার।
৩. সিলেটের ট্রাফিক ও হাইওয়ে পুলিশের হয়রানি বন্ধ।
৪. মেয়াদোত্তীর্ণ সেতুতে (শেরপুর সেতু, শেওলা সেতু, লামাকাজী সেতু, ফেঞ্চুগঞ্জ সেতু ও শাহপরান সেতু) টোল আদায় বন্ধ। এবং
৫. সিলেটের চৌহাট্টাসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে কার, মাইক্রোবাস, লেগুনা, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ ছোট গাড়ির জন্য পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা।
এসএ/
আরও পড়ুন