সিলেটে ১৪ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল, বৈধ ৩১
প্রকাশিত : ০৮:৪৫, ৪ ডিসেম্বর ২০২৩
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেটের ৬টি আসনে মনোনয়ন জমা দেওয়া ৪৭ প্রার্থীর মধ্যে ৩১ জনের বৈধ, ১৪ জনের প্রার্থিতা বাতিল ও দুই জনের স্থগিত করা হয়েছে।
রোববার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সিলেট জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান এ ঘোষণা দেন।
সিলেট-১ আসনে গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেন ৭ জন। এর মধ্যে ৫ জনের মনোনয়ন বৈধ, একজনের বাতিল ও একজনের স্থগিত করা হয়েছে। বৈধ ঘোষণা হয়েছে আওয়ামী লীগের ড. এ কে আবদুল মোমেন, জাকের পার্টির মো. আবদুল হান্নান, ইসলামী ঐক্যজোটের ফয়জুল হক, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. সোহেল আহমদ চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের মনোনয়ন।
আসনটিতে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী আবদুল বাছিতের মনোনয়ন বাতিল ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ইউসুফ আহমদের মনোনয়ন স্থগিত করা হয়েছে।
সিলেট-২ আসনে ১৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। এর মধ্যে ৬ জনের মনোনয়ন বৈধ, দুই জনের স্থগিত ও ৬ জনের বাতিল করা হয়েছে। মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা হয়েছে আওয়ামী লীগের শফিকুর রহমান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির ইয়াহিয়া চৌধুরী, তৃণমূল বিএনপির মো. আবদুল মান্নান খান, জাকের পার্টির মো. ছায়েদ মিয়া, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মো. মনোয়ার হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আলতাফুর রহমান সোহেলের।
এ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইয়াহিয়া চৌধুরী আয়কর রিটার্নের কাগজ জমা না দেওয়ায় সকালে তার মনোনয়নপত্র স্থগিত করা হয়। পরে তিনি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপন করায় বিকালে জেলা রিটার্নিং অফিসার তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন।
এছাড়া মনোনয়ন স্থগিত রয়েছে জাতীয় পার্টির মাহবুবুর রহমান চৌধুরী ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মো. মনোয়ার হোসেনে।
মনোনয়ন বাতিল হয়েছে বর্তমান সংসদ সদস্য ও গণফোরামের প্রার্থী মোকাব্বির খান, তৃণমূল বিএনপির মো. আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. জহির, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান, ইকবাল হোসেন ও মোশাহিদ আলীর।
মোকাব্বির খানের মনোনয়ন বাতিল প্রসঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তা শেখ রাসেল হাসান বলেন, প্রার্থী মোকাব্বির খান গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি হিসেবে তার মনোনয়নপত্রে নিজেই সই করেন। কিন্তু তিনি যে দলের নির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন তার কোনো প্রমাণ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে উপস্থাপন করতে পারেননি। যে কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ অনুযায়ী মেয়র পদে থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার বিধান না থাকায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
সিলেট-৩ আসনে মনোনয়ন জমা দেন ৮ জন। এর মধ্যে চার জনের বৈধ এবং ৪ জনের বাতিল হয়েছে। বৈধ ঘোষণা হয়েছে আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আনোয়ারা হোসেন আফরোজ, ইসলামী ফ্রন্টের শেখ জাহেদুর রহমান মাসুম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কফিল আহমদ চৌধুরীর।
মনোনয়ন বাতিল হয়েছে, স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএমএ’র মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, কফিল উদ্দিন চৌধুরী, মো. ফখরুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোটের মো. মইনুল ইসলামের।
সিলেট-৪ আসনে মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা হয়েছে তিন জনের, স্থগিত হয়েছে এক জনের। বৈধ প্রার্থীরা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইমরান আহমদ, ইসলামী ঐক্যজোটের মো. নাজিম উদ্দিন কামরান, জাকের পার্টির মো. আলী আকবরের। স্থগিত হয়েছে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মো. আবুল হোসেন।
সিলেট-৫ আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ৮ জন। এর মধ্যে ৭ জনের বৈধ ঘোষণা হয়েছে এবং একজনের স্থগিত হয়েছে একজনের। বৈধ ঘোষণা হওয়া প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগের মাসুক উদ্দিন আহমদ, জাতীয় পার্টির শাব্বীর আহমদ, বাংলাদেশ মুসলীম লীগের (বিএমএল) মো. খায়রুল ইসলাম, তৃণমূল বিএনপির কুতুব উদ্দিন শিকদার, স্বতন্ত্র প্রার্থী আঞ্জুমানে আল ইসলাহর সভাপতি মোহাম্মদ হুছামুদ্দিন চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আহমদ আল কবীর ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. বদরুল আলম।
মনোনয়ন স্থগিত হয়েছে তৃণমূল বিএনপির কয়ছর আহমদ কাওসারের।
সিলেট-৬ আসনে ৬ প্রার্থীর সবার মনোনয়ন বৈধ ঘোষাণা করা হয়েছে। এ আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম নাহিদ, জাতীয় পার্টির সেলিম উদ্দিন, তৃণমূল বিএনপির শমসের মবিন চৌধুরী, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আতাউর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের সাদিকুর রহমান, স্বতন্ত্র সরওয়ার হোসেন।
এএইচ
আরও পড়ুন