সীমান্তে উদ্ধার পাকিস্তানি মাইন শেলটি করা হলো নিষ্ক্রিয়
প্রকাশিত : ১০:৪১, ৯ মার্চ ২০২৩
কলারোয়ায় উদ্ধারকৃত বোমা সদৃশ বস্তুটি আসলে মাইন শেল। এ মাইন শেলটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
বুধবার বেলা ১২টার উপজেলার সীমান্তবর্তী কাঁকডাঙ্গা সিনিয়র দাখিল মাদ্রাসার পেছনের মাঠে মাইন শেলটি নিষ্ক্রিয় করা হয়।
জানা গেছে, উদ্ধারকৃত মাইন শেলটি এম-২ এ-৪ এন্টি পার্সোনাল মাইন (পাকিস্তানি ভ্যারিয়ন্ট পি-৭)। ধারণা করা হচ্ছে, মাইনটি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কাঁকডাঙ্গা সীমান্ত এলাকার মাটিতে পুঁতে রেখেছিল।
র্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর জে এম গালিব হোসাইন খানের নেতৃত্বে র্যাব-৬ খুলনার বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিটের সদস্যরা মাইন শেলটি নিষ্ক্রিয় করেন। দীর্ঘদিনের পুরাতন হলেও নিষ্ক্রিয়ের সময় মাইন শেলটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়।
যা থেকে সহজেই ধারণা করা হচ্ছে, শেলটি বিশাল শক্তিশালী ছিল।
এ সময় উপস্থিত ছিলে কলারোয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুলী বিশ্বাস, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা সুলতানা নীলা, কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ নাছির উদ্দিন মৃধা, ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিলসহ র্যাব সদস্য, পুলিশ, বিজিবি ও ডিএসবির সদস্যবৃন্দ।
এ বিষয়ে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ নাছির উদ্দীন মৃধা জানান, ধারণা করা হচ্ছে মাইন শেলটি ১৯৭১ সাল মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী রেখে যেতে পারে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সকালে কলারোয়ার সীমান্তবর্তী কাঁকডাঙ্গা ফুটবল মাঠের সন্নিকটে জনৈক কাশেমের বাঁশ বাগানে কবর খননের সময় ওই বোমা সদৃশ বস্তুটি উদ্ধার করে স্থানীয় জনতা।
এরপর বস্তুটি কাঁকডাঙ্গা উত্তরপাড়া ঈদগাহের পেছনে রউফ সরদারের বাঁশবাগানে এনে রাখা হয়ে। এরপর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মাইন শেলটি নিষ্ক্রিয় করা হয়।
এএইচ
আরও পড়ুন