ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সুইজারল্যান্ডের পাহাড়ে ছাদহীন হোটেল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৩৮, ২ অক্টোবর ২০১৭ | আপডেট: ২২:৪৭, ৬ অক্টোবর ২০১৭

খোলা আকাশের নিচে অবস্থিত শূন্য তারকা বিশিষ্ট হোটেল। হোটেলটির দালানের ওপর কোন ছাদ বা দেয়াল নেই। তারপরও সেখানে মানুষের ভিড়, প্রকৃতির ছোয়া পেতে। হোটেলটিতে একমাত্র তারকা হলেন অতিথিরা ৷ হ্যাঁ এমনই একটি হোটেল সুইজারল্যান্ডের গনটেন গ্রামের কাছে গ্যোবসি পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত৷ ভূমি থেকে ১২শ’ মিটার উঁচুতে হোটেলটি নির্মাণ করেছিলেন যমজ দুই ভাই ফ্রাংক পাট্রিক রিকলিন৷

ফ্রাংক রিকলিন বলেন, শূন্য তারকা হোটেলের অন্যতম আকর্ষণ হলো অতিথিরা। যখন তারা এখানে আসেন তখন বুঝতে পারেন না যে, এটি আসলে কী৷ এটি কি একটি শিল্পকর্ম, নাকি পর্যটনকেন্দ্র? তিনি বলেন, অতিথিদের এভাবে একটু অনিশ্চয়তায় ফেলে দেওয়ার বিষয়টি বেশ দারুণ ৷ হোটেলে কোনো ওয়ালপেপার নেই। তারপরও আশেপাশের দারুণ দৃশ্যের জন্য সারা বিশ্ব থেকে মানুষ আসে এখানে। পর‌্যটকদের কাছে এটি যেন স্বপ্নপূরী।

পাট্রিক রিকলিন বলেন, আমরা এই বিছানা তৈরি করেছি। এর শুরু থেকে সবসময় অতিথি থাকছেন৷ এটি আসলে বিলাসিতা উপভোগের অনন্য এক উপায়।

রিসেপশনিস্ট কাম বাটলার হলেন ক্যোবি ডিটরিশ৷ তিনি কৃষিকাজের পাশাপাশি এই কাজ করেন৷ তিনি বলেন, প্রথমে আমি বুঝতে পারিনি যে, আমার জন্য এমন অভিজ্ঞতা অপেক্ষা করছে৷ আমি এই হোটেলের অংশ হতে পেরে আনন্দিত৷

ফ্রাংক রিকলিন বলেন,  এই হোটেলের তারকা হলেন অতিথিরা ৷ এটিই শূন্য তারকা হোটেলের দর্শন৷ যখন আমরা অতিথিদের প্রতিক্রিয়া দেখি, তাদের চলাফেরা ও উৎসাহ দেখি, তখন আমরাও অনুপ্রাণিত হই৷ আমরা বুঝতে পারি, আমাদের কনসেপ্টটা সফল হয়েছে৷

হোটেলের অতিথি আন্দ্রেয়া তাসির্তো বলেন, আমার প্রথমে স্বপ্ন মনে হয়েছিল ৷ তারপর সকালে উঠে মনে হলো, ওটা স্বপ্ন ছিল না৷ বিছানাটা বেশ আরামদায়ক ছিল, খুবই ভালো ঘুমিয়েছি৷

অনেক কোম্পানি এই দুই শিল্পীকে তাদের কনসেপ্ট নিয়ে ব্যবসা করার প্রস্তাব দিয়েছিল ৷ এর মধ্যে একটির মূল্য ছিল কয়েক মিলিয়ন ইউরো ৷ কিন্তু তাঁরা তাতে রাজি হননি ৷ কারণ হোটেলের ভবিষ্যতের বিষয়টি তাঁরা খোলা রাখতে চান৷

সূত্র : ডয়েচে ভেলে।

/আর/এআর


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি