ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

সুতার বাড়তি দামে বিপদে পোশাক শিল্প

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:১২, ৫ জুন ২০২২

গেল দুই বছরে সুতার দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ৷ এতে খরচ বেড়েছে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারীদের৷ কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রেতারা বাড়তি এ দাম পরিশোধ না করায় বিপদে পড়েছে বাংলাদেশসহ এশিয়ার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো৷

করোনা মহামারির ধাক্কা সামলাতে না সামলাতে আবারো চাপের মুখে পোশাক খাত৷ ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতির কারণে দাম বেড়েছে কাঁচামালের৷ এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন উদ্যোক্তারা৷

আন্তর্জাতিক বাজারে ২০২০ সালে এক পাউন্ড কাঁচা তুলার দাম ছিল ৬৪ সেন্ট৷ এখন সেই দাম দ্বিগুণেরও বেশি (১.৩ মার্কিন ডলার)৷ এতে বাংলাদেশ, চীন ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো লোকসানের মুখে পড়েছে৷ লোকসান সামলাতে না পেরে বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে ছোট ছোট কারখানাগুলো৷ অনেক প্রস্তুতকারক সুতার বদলে কমদামে সিনথেটিক ব্যবহার করছে৷

‘‘আমরা কারখানাগুলো পুরোদমেই চালাচ্ছি৷ কিন্তু তার জন্য কতটা খরচ বহন করতে হচ্ছে আমাদের? লাভের মুখ দেখাই কঠিন হয়ে পড়েছে,'' বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প মালিক ও শ্রমিকদের সংগঠন বিজিএমইএ-র সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন৷ আন্তর্জাতিক ব্রান্ড এইচএন্ডএম ও গ্যাপের জন্য পোশাক তৈরি করেন তিনি৷ 

বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সিংহভাগ ক্রেতা ইউরোপ৷ এই ব্লকে দেশে তৈরি গার্মেন্টস পণ্যের ৬০ ভাগ রপ্তানি হয়৷ কিন্তু রপ্তানিকারকদের অভিযোগ, বাড়তি খরচ ক্রেতারা কোনভাবেই নিতে চায় না৷

সিদ্দিকুর জানান, করোনাকালে পরিবহণ খরচ চারগুণ বেড়েছে৷ ‘‘তার বোঝা রপ্তানিকারকদের ওপরই পড়ছে,'' বলেন তিনি৷

খরচ কমাতে তুলার পরিবর্তে সিনথেটিক ব্যবহার করছে রপ্তানিকারকেরা৷ সিনথেটিক ফাইবারে প্রতি পাউন্ডের খরচ ৬০ সেন্ট থেকে ১ ডলার৷

ভারত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় তুলা উৎপাদনকারী দেশ৷ কিন্তু সেখানকার অনেক ছোট ছোট তৈরি পোশাক কারখানা এমনকি তিন মাস আগের অর্ডারও পূরণ করতে পারছে না৷ 

‘‘ছোট কারখানাগুলো তো অর্ডার নেয়াই বন্ধ করে দিয়েছে,'' বলেন ভারতের টেক্সটাইল অ্যাসোসিয়েশনের অশোক জুনেজা৷

সূত্র: ডয়েচে ভেলে

এসবি/ 

 

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি