ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

সুদহারের শর্ত শিথিলের পক্ষে অর্থনীতিবিদরা (ভিডিও)

মেহেদী হাসান

প্রকাশিত : ২১:৫৪, ৪ আগস্ট ২০২২ | আপডেট: ২১:৫৬, ৪ আগস্ট ২০২২

মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় ব্যাংক-ঋণ ও আমানতের সুদহার উন্মুক্ত করে দেয়ার সময় এসেছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। আর ব্যাংকাররা বলছেন, ৬ শতাংশের বেশি সুদে আমানত নিচ্ছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। তবুও ঋণের ক্ষেত্রে বহাল আছে ৯ শতাংশ সুদ।

২০২০ সালের এপ্রিলে কার্যকর হয় ব্যাংকঋণে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদহার। আর আমানতে সুদ বেঁধে দেয়া হয় সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ। তবে আমানতের সুদ হার হতে হবে সর্বনিম্ন সাড়ে ৫ শতাংশ। আর তিন মাস বা তার বেশি মেয়াদী আমানতের সুদ মূল্যস্ফীতির চেয়ে কম হবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
  
কিন্তু গত দুই বছরে বাংলাদেশসহ বিশ্ব অর্থনীতিতে এসেছে অনেক পরিবর্তন। করোনার ভয়াবহতা কমায় ভোগ ও চাহিদা বেড়েছে। ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ আরো উস্কে দিয়েছে বাজার। মূল্যস্ফীতি চরমে।
  
পরিস্থিতি সামাল দিতে অনেক দেশ পরিবর্তন এনেছে মুদ্রানীতিতে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বাড়িয়েছে সুদের হার। রেপো বা নীতি সুদহার বেড়েছে বাংলাদেশেও। তবে ঋণ ও আমানতের সুদহারের শর্ত শিথিলের পক্ষে অর্থনীতিবিদরা।

অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর একুশে টেলিভিশনকে বলেন, ‘আমাদের এখন এক্সচেঞ্জে সাপোর্ট দেয়া, ইন্টারন্যাশনালি পৃথিবীজোড়াই এবং ইনফ্লেশনকে কমিয়ে আনা ইন্টারেস্ট রেট বাড়িয়ে। প্রায় শতাধিক দেশে ইন্টারেস্ট বাড়িয়েছে।’

ব্যাংকাররা বলছেন, বেশিরভাগ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ৬ শতাংশের বেশি সুদে আমানত নিচ্ছে। ঋণের সুদহার এখনো ৯ শতাংশ।
  
মিউচুয়ার ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ডিপোজিট রেটে কিন্তু ব্যাংক যার যার সামর্থ অনুসারে ইন্টারেস্ট দিচ্ছে। যে ব্যাংকের ডিপোজিট বেশি দরকার সে ব্যাংক বেশি দিচ্ছে। এখন এই মুহূর্তে কোনো কোনো ব্যাংক সাড়ে ৭ শতাংশ দিচ্ছে।’

তবে সুদের হার সম্পূর্ণভাবে বাজারভিত্তিক করা নিয়ে আছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

এ প্রসঙ্গে সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এটা ম্যাটার অব টাইম। কিন্তু এখন যেহেতু একটা ডিফিকাল্ট টাইমের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, এই ডিফিকাল্ট টাইমে কিন্তু সরকার ও সেন্ট্রাল ব্যাংকের ওপর কিছু দায়-দায়িত্ব বর্তায়।’

আর সুদহার নিয়ে ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘দুই বছর আগের রেটেই আছি আমরা। পৃথিবীর কোথাও দুই বছর আগের রেটে এখনকার বাজার চলে না। ভারতেও চলেনি, আমেরিকা, ইউরোপ কোথাও কিন্তু চলছে না।’ 

এদিকে ঋণের সুদহার বাড়লে বাড়বে ব্যবসা-বাণিজ্যের খরচ। এতে মূল্যস্ফীতি আরো বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন বিশ্লেকরা। 

এএইচএস

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি