সুবিধার পরও চীনে বাড়ছে না রপ্তানি আয় (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:৫০, ২২ জুলাই ২০২৩
শুল্কমুক্ত সুবিধার পরও চীনে বাড়ছে না রপ্তানি আয়। দেশটির চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশের ঝুঁড়িতে প্রয়োজনীয় রপ্তানিযোগ্য পণ্য না থাকাই এর প্রধান কারণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এজন্য বহুমুখী রপ্তানি পণ্য উৎপাদনে চীনা বিনিয়োগ আকর্ষণের পরামর্শ তাদের। পাশাপাশি দেশটির কাছ থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা নেয়ার ওপরও জোর দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা।
২০২০ সালে বাংলাদেশের ৯৭ শতাংশ পণ্য শুল্কমুক্ত কোটায় রপ্তানির সুবিধা দেয় চীন। ২০২২ সালে এ সুবিধা আরও বাড়ে। ৯৮ শতাংশ পণ্য আসে শুল্কমুক্ত সুবিধায়। কিন্তু তারপরও দেশটিতে প্রত্যাশা অনুযায়ী বাড়ছে না রপ্তানি।
ইপিবি বলছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে চীনের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল শূন্য দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার, আর গেল অর্থবছরে রপ্তানি কিছুটা কমে দাঁড়ায় শূন্য দশমিক ৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
এদিকে, রপ্তানির সাথে কমছে আমদানিও। ২০২১-২২ অর্থবছরে চীন থেকে বাংলাদেশের আমদানি ছিল ১৯ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার, ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা নেমে আসে ১৭ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলারে।
পরিসংখ্যান বলছে, বৈশ্বিক বাজার থেকে ২০২২ সালে চীন মোট ২ হাজার ৭২০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। ব্যবসায়ী নেতা ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চীনের আমদানির সিংহভাগই খনিজ দ্রব্য ও শিল্পের কাঁচামাল। বিপরীতে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক, যা চীন নিজেই উৎপাদন করে। ফলে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা পেলেও চীনের বাজারে ভালো করতে পারছে না বাংলাদেশ।
র্যাপিড চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “চায়না হচ্ছে পৃথিবীর বৃহৎতম গার্মেন্টস পণ্য প্রস্তুতকারী দেশ। চায়না আমদানি করে ১০ থেকে ১২ বিলিয়ন ডলারের মতো। কাজেই এখানে মার্কেটটা খুবই ছোট।”
বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন মৃধা বলেন, “চায়নাতে গার্মেন্টস বড় কোনো সেক্টর নয় আমাদের জন্য। যেগুলো বেশি বেশি আমদানি করে তাদের চাহিদা মেটাচ্ছে সেই সব সেক্টরে বাংলাদেশ বড় কোনো প্লেয়ার হতে পারেনি।”
তারা বলছেন, শুধুমাত্র রপ্তানি দিয়ে চীনের সাথে পর্বতসম বাণিজ্য ঘাটতি কমানো যাবে না। এজন্য রপ্তানিমুখী ও আমদানি বিকল্প শিল্পে চীনা বিনিয়োগ আনতে হবে।
ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “আইফোন, টেলিফোন যন্ত্রাংশ, কম্পিউটার বেইজড অনেক পণ্য চায়না রফতানি করে এবং এটার সঙ্গে অনেক দেশ সম্পৃক্ত। পূর্ব এশিয়ান দেশের অনেকেই সেই সুবিধাটা নিয়েছে।”
আল মামুন মৃধা বলেন, “এর আগে যেই ধরনের পণ্য চায়না থেকে বেশি উৎপাদন করতাম সেগুলোতে অনেক কোম্পানি বিনিয়োগ শুরু করেছে। তারা এগুলো বাংলাদেশে উৎপাদনে আগ্রহী।”
২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল প্রায় এক বিলিয়ন ডলার।
এএইচ
আরও পড়ুন