সুরকার খাদেমুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন
প্রকাশিত : ১১:০৯, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭
‘আমার এ দেশ সব মানুষের, সব মানুষের, চাষাদের, মুটেদের, মজুরের’- স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কালজয়ী এই গানের সুরকার বিশিষ্ট সংগীত পরিচালক খাদেমুল ইসলাম বসুনিয়া আর নেই। বুধবার রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি (ইন্নালিল্লাহি ... রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
২১ ডিসেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরদিন তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল।
গুণী এই সংগীতজ্ঞকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তার মরদেহ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রংপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে নিয়ে আসা হয়। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বাদ জোহর ২য় নামাজে জানাজা গুপ্তপাড়াস্থ জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর নূরপুর কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর রংপুর বেতার কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়। সেদিনই খাদেমুল ইসলাম বসুনিয়া প্রথম সংগীত পরিচালক হিসেবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংগীত পরিচালনা করেন।
তিনি ছিলেন মূলত একজন গণসংগীত শিল্পী ও সুরকার। এছাড়াও গীতিকার ও সংগীত প্রযোজক হিসেবে বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনে তার অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
তিনি ১৯৬৭ সালে রংপুর বেতার কেন্দ্রে একজন নৈমিত্তিক সংগীত প্রযোজক হিসেবে যোগদান করেন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশে গণআন্দোলন শুরু হলে খাদেমুল ইসলাম বসুনিয়া সাংস্কৃতিক কর্মীদের সমন্বয়ে রংপুর অঞ্চলে ব্যাপক সাংস্কৃতিক কার্যক্রম গ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালে বেতারে নিজস্ব সংগীত প্রযোজক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯৩ সালে পদোন্নতি পেয়ে রাজশাহী বেতারে মুখ্য সংগীত প্রযোজক হন। ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ বেতারের প্রিন্সিপাল মিউজিক প্রডিউসার পদে পদোন্নতি পান এবং ২০০১ সালে অবসর গ্রহণ করেন।
এসএ/