ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪

সুস্থ জীবনের জন্য পা কাটতে চান ফাহিমা

প্রকাশিত : ২৩:৩৩, ৩ মার্চ ২০১৯

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামের ভ্যান চালকের স্ত্রী ফাহিমা খাতুন সুস্থ জীবনে ফিরতে চান। চলতে চান আগের মতো। কিছু দিন আগে তার পায়ে পচন ধরেছে।

চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার পা কেটে ফেলতে হবে। কিন্তু অপারেশনের করার মতো টাকা নেই এই অসহায় মানুষগুলোর। কিন্তু রয়েছে স্বাভাবিক জীবন-যাপনের আশা। সেই জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন সবার কাছে।

ফাহিমা খাতুন জানান, একমাস আগেও সুস্থ ছিলেন। কিন্তু এরই মধ্যে পাল্টে গেছে তার জীবন চিত্র। এক পায়ে ব্যথার যন্ত্রণা শুরু হয়েছিল। ওষুধ খাওয়ার পরও ব্যথা না কমে পচন ধরেছে তার পায়ে। সেই পচা অংশ থেকে এখন খসে পড়ছে মাংস। সেই পচা অংশ থেকে পোকা ধরেছে।

ফাহিমা খাতুনের মেয়ে সোনিয়া আক্তার বলেন, এক মাস আগে মায়ের পায়ে ব্যথা শুরু হয়। তখন ডাক্তার দেখানো হয়। ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খাওয়ানোর পর থেকে পায়ে পচন ধরেছে। চলাফেরা বন্ধ হয়ে যায়। এখন পায়ের মাংস পচে পুজ বের হচ্ছে। রোগটির নাম ডাক্তার বলতে পারছে না। তবে ডাক্তার বলেছেন,পা কেটে ফেলতে হবে।  কিন্তু আমার বাবার কাছে পা কাটার মতো টাকা নেই। আমার বাবা একজন ভ্যান চালক। তার উপার্জন দিয়ে কোনো রকম আমাদের সংসার চলে। আমার চিকিৎসা করানোর মতো সামর্থ্য নেই তার।

দেয়াড়া ইউনিয়নের স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্য আকলিমা খাতুন বলেন, পায়ে ব্যথা শুরু হলে প্রথমে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডাক্তার জাফর উল্লাহকে দেখানো হয়। তিনি ওষুধপত্র দেন। ওষুধ খাওয়ার পর পচন ধরতে শুরু করে। বর্তমানে পায়ের মাংস খসে খসে পড়ছে তার। সেখান থেকে পুজ ও পোকা বের হচ্ছে। ওই ডাক্তারের কাছে ফাহিমাকে নিয়ে গেলে তিনি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বলেন,পা কেটে বাদ দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, যশোরে এক হোমিও ডাক্তারকে দেখানো হচ্ছে। হোমিও ডাক্তারের ওষুধ খাওয়ার পর ব্যথা একটু কমেছে তবে পচন ধরা অংশ কমেনি। বাম পায়ের হাটু থেকে ও ডান পায়ের হাটুর নিচ থেকে একেবারেই পচে গেছে।

ফাহিমা খাতুন জানান, একমাস আগে প্রথমে আমার বাম পায়ের বুড়ি আঙ্গুলে যন্ত্রণা শুরু হয়।এরপর ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পর কি হয়ে গেল কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। আমি সুস্থ হতে চাই। বাঁচতে চাই। আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাই।

দেয়াড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বলেন, ফাহিমা খাতুনের অবস্থার কথা জেনে তাদের বাড়িতে গিয়ে কিছু চিকিৎসার সহায়তা করেছি। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের একটি ভিজিডি কার্ড করে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।

রোগের বিবরণ শুনে ও ছবি দেখে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মনোয়ার হোসেন বলেন, ইনফেকশন হয়ে সম্ভবত গ্যাংগ্রিন হয়েছে। চামড়া ফেলে নতুন চামড়া লাগিয়ে চিকিৎসা করানো সম্ভব। এছাড়া রোগীকে সরাসরি না দেখে বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়। যদি কোন সুহৃদ ব্যক্তি সাহায্য দিতে চান তাহলে পরিবারটির সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে এই নাম্বারে ০১৭০৪৬৬১৯৭২।

কেআই/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি