সেই বিভিষিকায় এখনও শিউরে ওঠে সুন্দরগঞ্জবাসী (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:৪২, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসেন সাইদীর রায় ঘোষণার পরপর দেশে বিভিন্ন স্থানে তান্ডব চালায় জামায়াত-শিবির। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সেই হামলার ক্ষত আজ দগদগে। চোখ উপড়ে, জিহ্বা কেটে মধ্যযুগীয় বর্বরতা চালায় তারা। জামায়াত শিবিরের হামলায় গাইবান্ধায় চার পুলিশ হত্যার ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি বিচার কাজ। বিচার কাজ দেরি হওয়ায় ক্ষুদ্ধ স্বজন ও এলাকাবাসী।
২৮ ফেরুয়ারি সুন্দরগঞ্জের মানুষের কাছে একটি বিভিষিকার নাম। এই দিনের কথা মনে করে এখনও শিউরে ওঠে এলাকাবাসী। যুদ্ধপরাধী দেলোয়ার হোসেন সাইদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াত-শিবির কর্মীরা হামলা চালায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের বামনডাংগায়। আগুন দেয় ঘরবাড়ি, রেলস্টেশনসহ পুলিশ ফাঁড়িতে।
এতে ঘটনাস্থলে দুইজন ও পরে আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরও দুই পুলিশ সদস্য। এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় গনসার হাটে সাইফুলকে জিব্বা কেটে দেয় এবং চোখ তুলে নিয়ে উম্মাদনা করে জামায়াত-শিবির কর্মীরা।
জামায়াত-শিবিরের লোকজন জামিনে বেরিয়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত এখানকার মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, মূল আসামিদের বিচার হবে কিনা তা নিয়ে আমরা শঙ্কায় ভুগছি।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার ১১ বছর পেড়িয়ে গেলেও শেষ হয়নি এর বিচার কাজ। পুলিশ বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় পুলিশ হত্যাসহ ২৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও চার্জশীট দাখিল করে। পুলিশ আসামি গ্রেফতার করলেও ২৩৫ জনের মধ্যে ২১৫ জন আসামি জামিনে বেড়িয়ে আসেন।
গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিউকিটর ফারুখ আহমেদ প্রিন্স বলেন, “মামলা নিষ্পত্তির পথে আছি, একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সাক্ষী বাকি আছে তা নেয়ার পর পুলিশের আইওকে দিয়ে মামলা ক্লোজ করা হবে “
এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হতে সুন্দরগঞ্জের মানুষের চাওয়া দ্রুত বিচার কাজ শেষ হোক।
এএইচ
আরও পড়ুন