সেনাবাহিনী চায় জাতীয় পার্টি, ইভিএমে না
প্রকাশিত : ১৩:০২, ৭ নভেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৩:১০, ৭ নভেম্বর ২০১৮
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনীকে মাঠে চায় সম্মিলিত জাতীয় জোট। তবে ইভিএম ব্যবহার না করার পক্ষে মত দেওয়া হয়েছে জোটের পক্ষ থেকে। আজ বুধবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে এমনটাই জানায় জাতীয় পার্টি নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোট।
বুধবার সকাল ১১টায় পূর্ব নির্ধারিত বৈঠকে অংশ নিতে জাতীয় পার্টি এবং জোট নেতাদের নিয়ে নির্বাচন কমিশনে আসেন হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ। প্রায় সোয়া এগারোটার দিকে কমিশনের সম্মেলন কক্ষে শুরু হয় বৈঠক। প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর বেলা ১২টা ২০ মিনিটে সম্মেলন কক্ষ থেকে বের হয়ে আসেন জাতীয় জোটের নেতৃবৃন্দ।
এসময় হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের উপস্থিতিতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার। তিনি বলেন, ‘জোটের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে ৮দফা দাবি জানানো হয়েছে। এগুলোর মধ্যে আমাদের দাবি হচ্ছে আলোচনার অজুহাতে তফসিল পেছানোর কোনও সুযোগ নেই। তাই আমরা কমিশনকে ৮ নভেম্বরেই তফসিল ঘোষণার দাবি জানিয়েছি’।
রুহুল আমিন হাওলাদার আরও বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে আরও দাবি জানানো হয়, নির্বাচনে মনোনয়নের আবেদন প্রক্রিয়া পূর্বের তুলনায় আরও সহজ করতে হবে, কালো টাকার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, নির্বাচনে অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করতে হবে, নির্বাচনী প্রচারণার সময় সংঘর্ষ সংঘাত নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিতে হব, স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনীকে মাঠে রাখতে হবে’।
আর ইভিএম সম্পর্রকে বলেন, ‘আমরা কমিশনকে বলেছি, মানুষ যেহেতু ইভিএম সম্পর্কে অভ্যস্ত না এবং অনেক দ্বিধা আছে তাই এগুলো কেটে গেল তবেই যেন ইভিএম ব্যবহার করা হয়’।
এদিকে আজ বিকেল ৪টায় এইচটি ইমামের নেতৃত্বে কমিশন কার্যালয়ে আসবেন আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল। তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর কমিশনের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের ব্রিফ করা হবে’।
একে//
আরও পড়ুন