ঢাকা, বুধবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

সোরিয়াসিস কি, আক্রান্তরা সুস্থ থাকবেন যেভাবে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩১, ১৮ আগস্ট ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

জিনগত কারণ ছাড়াও মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা কিছু কিছু ত্বকের সংক্রমণকে উস্কে দেয়। তার মধ্যে সোরিয়াসিস অন্যতম। সাধারণত কনুই, হাঁটু, মাথা, হাত ও পায়ের নখে দেখা দেয় সোরিয়াসিস। এ রোগে শরীরের বিভিন্ন অংশে গোল গোল ও এবড়োখেবড়ো চাকার মতো দাগ তৈরি হয়। এরপর সেখানকার ত্বক থেকে মাছের আঁশের মতো চামড়া উঠতে থাকে। জায়গাটি খসখসে হয়ে যায় এবং চুলকায়।

সোরিয়াসিস আক্রান্ত স্থানের রং ধীরে ধীরে বদল হতে থাকে। কখনও লালচে, আবার কখনও কালচে ছোপের মতো হয়। কারও কারও ক্ষেত্রে আক্রান্ত স্থানটি একটু ফুলে যায় এবং চামড়া ফেটে রক্ত বা পুঁজ বের হয়। তবে মাত্রাতিরিক্ত না হলে এমনটা হয় না।

ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, সোরিয়াসিস নিয়ে আজও কিছু ভুল ধারণা রয়েছে। সোরিয়াসিস সংক্রামিত ভেবে অনেকেই ভয় পান। এ ধারণাটি একেবারেই ভুল। এটি ছোঁয়াচে নয়। এক সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া, রক্তের আদান-প্রদান, যৌন সম্পর্কে কোন ভাবেই এই অসুখ ছড়ায় না।

তবে এ অসুখ একেবারে নির্মূলও হয় না। কিন্তু কিছু নিয়মকানুন মেনে চললে এই অসুখ থাকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে।

এবার জেনে নেওয়া যাক সোরিয়াসিস রোগীরা কি ধরনের নিয়ম মেনে চললে ভাল থাকবেন :

* সোরিয়াসিস হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এ ক্ষেত্রে নারকেল তেল ও অলিভ অয়েল খুব ভাল কাজ করে। গোসলের আগে সারা শরীরে মেখে নিন এই দুই তেলের যে কোন একটি।

* ত্বকের ক্ষত স্থানটি কখনও শুকনো রাখা যাবে না। তবে গ্লিসারিন এড়িয়ে চলুন। বাজারচলতি ত্বক উজ্জ্বল করার ক্রিম, লোশন একেবারেই ব্যবহার করা যাবে না। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন।

* স্টেরয়েড আছে এমন কোন উপকরণও সরাসরি লাগানো যাবে না।

* অ্যালার্জি আছে এমন কোন খাবার না খাওয়াই ভাল, এতে ত্বকের প্রদাহ বাড়তে পারে।

* বাইরে থেকে ফিরে ভাল করে হাত-পা ধুয়ে ময়শ্চারাইজার লাগাতে পারেন। বর্ষায় জমাকৃত পানি পায়ে লাগলেও ভাল করে পা পরিষ্কার করতে হবে।

* সোরিয়াসিসের রোগী খাঁটি চামড়ার জুতা বা ব্যাগ ব্যবহার না করে চামড়া মিশ্রিত ফোম, পাট বা অন্য উপাদানের জিনিস ব্যবহার করুন। হাত-পায়ের ত্বকে অসুখের প্রভাব থাকলে খুব গাঢ় রঙের জুতো বা ব্যাগ না ব্যবহার করাই ভাল।

* সাবান ও শ্যাম্পু চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ব্যবহার করুন।

* অসুখ নিয়ন্ত্রণে আসার পর অনেকে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন। এমন করলে রোগীর শরীরে ক্ষতি তো হয়ই উল্টা রোগ আবার বেড়ে যেতে পারে। তাই ওষুধ বন্ধ করা যাবে না।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি